আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ শেষ রাতে সেহরী খাবার পর মোবাইল ফোন না দেয়ায় অভিমানে চাঁদনী খাতুন (১৩) নামের ৬ষ্ট শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
চাঁদনী আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের প্রবাসি চান মিয়া প্রামানিকের মেয়ে। সে মুরইল আইডিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেনির ছাত্রী। আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোর রাতে বিষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবার কিংবা গ্রামবাসির কোন অভিযোগ না থাকায় পুলিশ মরদেহের সুরতহার রির্পোট তৈরী করে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তদন্তকারি উপ পরিদর্শক তারেক রহমান জানান।
পুলিশ ও পরিবার সুত্রে জানায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত ভোর সাড়ে ৩টায় মা আঙ্গুর বেগমের সাথে ওই স্কুল ছাত্রী চাঁদনী খাতুনসহ পরিবারের লোকজন রোজা খাবার উদ্দেশ্যে সেহরী খাবার পর স্কুল ছাত্রী চাঁদনী খাতুন তার মা আঙ্গুর বেগমের নিকট মোবাইল ফোন চাইলে তার মা মোবাইল ফোন না দিয়ে চাঁদনীকে বকা দেয়।
পরে তার মা ঘুমিয়ে পড়ে। ভোর সাড়ে ৪টায় চাঁদনীর মা গোসল খানায় গিয়ে দেখতে পান চাঁদনী গোসল খানার ঘরের টিনের ছাউনির বাঁশে সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলে রয়েছে।
তাকে নামানোর হলে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। চাঁদনী খাতুনের বড় চাচা আব্দুল মতিন জানান, মোবাইল ফোন না দেয়ায় অভিমানে সে আত্মহত্যা করেছে। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মালা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।