স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় ৫ বছর বয়সী নাতি বন্ধনকে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন নানা সুকুমার দাস। তবে কী কারণে তাকে তিনি হত্যা করলেন সে বিষয়ে মুখ খোলেননি। সেইসাথে পুলিশের কাছে তিনি হত্যার কথা স্বীকর করলেও আদালতে স্বীকার করেননি। ৩ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত সুকুমার সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের শশীবদনী হিন্দুপাড়া গ্রামের ঝুমুর দাসের ছেলে। বগুড়া আইন কলেজের ছাত্র তিনি।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নানা সুকুমার বন্ধনসহ দুই শিশুকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় সে ধান কাটার কাঁচি দিয়ে শিশু বন্ধনের গলায় আঘাত করলে অন্য শিশুটি ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে গ্রামের লোকজন ওই শিশুর কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশু বন্ধন মায়ের সাথে নানার বাড়িতে হরিবাসরের অনুষ্ঠানে এসেছিল।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার এসআই তয়ন কুমার বলেন, গ্রেফতার সুকুমার তার নাতি বন্ধনকে নিজ ঘরে ধান কাটার কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করছেন। তবে আদালতে তিনি এ হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেননি। সেইসাথে কি কারণে তিনি তাকে হত্যা করেছেন সে বিষয়েও কিছু বলেননি।
তবে তার বিয়ে না হওয়াসহ নানা কারণে তার মধ্যে ক্ষোভ ছিল বলে তদন্তে জানা গেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত শুক্রবার ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে গত রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
মামলার তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ফের রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করা হবে বলেও এসআই তনয় জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।