ভিডিও

প্রচন্ড গরম ও লোডশেডিংএ চাহিদা বেড়েছে চার্জার ফ্যান, আইপিএস ও এসির

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৫:৪৯ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৫:৪৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : তীব্র দাবদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে। রোদের তাপে শরীর যেন সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। তেতে আছে সবকিছ। বাড়ির ভেতরেও ফ্যান ছাড়া থাকা যাচ্ছে না। বৈশাখের শুরু থেকে তাপমাত্রা কখনো ৩৫ ডিগ্রি আবার কখনও উঠে যাচ্ছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

এমন অসহনীয় তাপমাত্রায় জনজীবন যখন অতিষ্ঠ তখন ভিড় বেড়েছে ফ্যান, আইপিএস  ও এসির দোকানে। ইলেট্রনিক্স দোকানে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্রেতাই সিলিং ফ্যান ও স্ট্যান্ড ফ্যান কিনছিলেন। এদিকে  ক্রেতারা দাবি করছেন চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এসব পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন গতবছরের চেয়ে বেচাকেনা কম।

তাদের দাবি গরম বেশি হলেও গত বছরের চেয়ে এবছর বিদ্যুতের লোডশেডিং কম এজন্য চার্জার ফ্যান ও আইপিএস বেচা-কেনাও কম। অসহ্য গরমে ফ্যানের বাতাসেও থাকা যাচ্ছেনা। সেখানে বিদ্যুত চলে গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এসময় বাড়ির বড়রা ও শিশুরা বেশি  কষ্ট পাচ্ছে।

এই কষ্টটাকে লাঘব করার জন্য বগুড়া শহরের সুত্রাপুরের এক চাকরিজীবি ঈদের পরে একটি ব্যাটারিসহ আইপিএস কিনেছেন। বললেন, অনেকটা বাধ্য হয়েই প্রয়োজনীয় এই যন্ত্রটি কিনতে হলো।  দাম পড়েছে ৩২ হাজার টাকা।

চাহিদা বাড়ার ব্যাপারে বগুড়া এম আর খান লেনের সোরাফ উদ্দিন প্লাজার মিশা ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স এর স্বত্তাধিকারি শফিকুল  ইসলাম বলেন, অসহনীয় গরম আর বিদ্যুতের লোডশেডিং এর জন্য চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। এর সাথে সিলিং ফ্যানের চাহিদাও বেড়েছে। গরম থাকলেও এখন পর্যন্ত যেহেতু বিদ্যুতের কোনো সমস্যা নেই তাই রিচার্জঅ্যাবল ফ্যানের চাহিদা খুব বেশি নেই। তবুও বিক্রি ভালোই হচ্ছে।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রিচার্জঅ্যাবল ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬শ’ থেকে ৫ হাজার ৭’ টাকা। পণ্যগুলোর দাম বাড়েনি। একই মার্কেটের ইয়াশিকা ইলেকট্রনিক্স’র স্বত্তাধিকারী মোঃ তৌহিদুর রহমান জানান, কয়েক দিন ধরে আইপিএস এর চাহিদা পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি আইপিএস চাহিদা বেড়েছে। ঈদের আগেই বেশি বিক্রি হয়েছে। আইপিএসের দাম বাড়েনি। তবে ব্যাটারির দাম বেড়েছে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা।

ফ্যান আইপিএস এর পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে এসির। এর মধ্যে ইনভার্টার এবং নন ইনভার্টার এসি বিক্রি হচ্ছে সমান তালে। বগুড়ার বিভিন্ন শো-রুমে গিয়ে জানা যায়  বিভিন্ন ব্রান্ডের এক টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ৪৭ হাজার টাকা থেকে ৭৪ হাজার টাকায়, দেড় টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ৬০ হাজার টাকা থেকে ৭৫ হাজার টাকায়।

এছাড়াও ২ টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ৮০ হাজার টাকা থেকে ১লাখ ২০ হাজার টাকায়। বগুড়ার সাতমাথায় এলজি শোরুমের ম্যানেজার মোঃ হাসান জানান,  এসি এখন আর বিলাসিতার পণ্য নয়। এখন এটা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গরম বাড়ার পর থেকেই এসি বিক্রি হচ্ছে ভাল। এবারে একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় এসির ক্রেতা বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত মানুষ। এসির দাম খুব একটা বাড়েনি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS