রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীসহ সারাদেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ। তবে চলতি মাস এপ্রিলের শুরু থেকেই এ তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ জন্য রাজশাহীসহ সারাদেশেই বারবার হিট এলার্ট জারি করা হচ্ছে। তবে এই তাপপ্রবাহ কখনও মাঝারি আবার কখনও তীব্ররূপ ধারণ করছে।
এই তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে পদ্মা নদীসহ খাল, বিল, পুকুরে গোসলে নামছেন শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষ। এতে একটু অসাবধানতার কারণে অকালে ঝরে যাচ্ছে বহু প্রাণ। রাজশাহী অঞ্চলে চলতি মাসেই তাপদাহ থেকে বাঁচতে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে প্রাণ গেছে ৯ জনের। যার অধিকাংশই শিশু-কিশোর।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার পদ্মা নদীতে পানিতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। আর এ মাসে শুধুমাত্র পদ্মা নদীতেই ডুবে মারা গেছেন ৯ জন।
গত মঙ্গলবার পদ্মা নদীর শ্যামপুর ঘাটে গোসল করতে নেমে তিন কিশোর মারা গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতরা হলো- কাটাখালী বাখরাবাজ এলাকার রেন্টুর ছেলে যুবরাজ (১২), লিটনের ছেলে আরিফ (১৩) ও নুর ইসলামের ছেলে জামাল (১২)।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল রাজশাহীর বাঘায় বিয়ে বাড়িতে এসে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে মারা যায় জান্নাত খাতুন (৮)। তবে এখনও ঝিলিক খাতুন (১২) নামের আরেক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
এছাড়াও গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) পদ্মা নদীর মুর্শিদপুর এলাকার খেয়াহাটে ডুবে মারা যায় উপজেলার খায়েরহাট গ্রামের সুজন আলীর ১০ বছরের ছেলে সিয়াম হোসেন সজিব। গত শনিবার (২০ এপ্রিল) বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীতে নৌকায় করে গোসল করতে গিয়ে মারা যান আসাদ হোসেন (১৮) নামে এক তরুণ।
গত রোববার (২১ এপ্রিল) পবায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামেন বাপ্পি হোসেন (১৬) ও মনির হোসেন (২০)। পরে ডুবে মারা যান তারাও।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবু সামা বলেন, রাজশাহীতে গত কয়েকদিন ধরে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে। আমরা ধারণা করছি, গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে কিশোররা নদীতে গোসল করতে গিয়ে মারা যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।