১০৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা ভিত্তিক বহুল আলোচিত এনজিও মধুমতি’র চেয়ারম্যান ও এনজিও’র কারাগারে থাকা এমডি মাসুদ রানার স্ত্রী মাহমুদা খাতুনকে (২৭) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নামে শিবগঞ্জ থানায় মধুমতি এনজিও সংক্রান্ত ১১৩টি সিআর (আদালতে দায়ের) মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে।
একই অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে মধুমতি সংক্রান্ত সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্তত আসামি মাহমুদার মা তাহেরা বেগম (৬০) এবং দুই ভাই মো. তৌহিদ (৩০) ও ইবনে কাসির (২৮)। এই ৩ জনের নামে জেলার গোমস্তাপুর থানায় ৩৮টি ওয়ারেন্ট রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকার সাভার বাইপাইল পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার একটি সাততলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পলাতক ওই চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা শিবগঞ্জের মোজাম্মেল হকের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জেলাব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মধুমতি এনজিও’র বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫ হাজার গ্রাহকের অন্তত: ১০৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, মধুমতি গ্রুপের এমডি ও প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানা গত ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর জেলার গোমস্তাপুর থানা পুলিশের কাছে অবৈধ পিস্তলসহ গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এরপর থেকে এনজিও’র সকল কার্যক্রম বন্ধ।
পথে বসেছেন হাজার হাজার আমানতকারী। এমতাবস্থায় গ্রাহকদের লাগাতার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আদালতের আদালতের শরণাপন্ন হন। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পুলিশের একটি বিশেষ দলের অভিযানে গ্রেপ্তার হয় ওই ৪ জন। এর মধ্যে মাহমুদার নামে এখন পর্যন্ত শিবগঞ্জ থানায় ১১৩টি ওয়ারেণ্ট পাওয়া গেছে।
তার বিরুদ্ধে মোট মামলার সংখ্যা আদালতে জানা যাবে। গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ বলেন, থানায় মাহমুদার মা ও দুই ভাইয়ের নামে ৩৮টি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে প্রকৃত মামলার সংখ্যা আদালতেই জানা যাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেপ্তার ৪ আসামিকে দুই থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।