ভিডিও

গাইবান্ধায় লাশ চুরির ভয়ে রাত জেগে কবর পাহারা

ময়নাতদন্তের দাবি

প্রকাশিত: মে ০৪, ২০২৪, ১০:০৫ রাত
আপডেট: মে ০৪, ২০২৪, ১০:০৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা সদরের দক্ষিণ কুমরপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে সাদিক হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় নয় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাদিকের ভাই মোশারফ হোসেন। আজ শনিবার (৪ মে) গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বড় ভাই মোশারফ হোসেন লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সদর উপজেলার দক্ষিণ কুমরপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাদিক হোসেনকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হলেও থানায় মামলা নিতে গড়িমসি করে হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, থানা পুলিশের চাপে লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ১৯ মার্চ বিকেল ৪ টার দিকে পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ি গ্রামের  মো. আকাশ ও তার বাবা সাজু মিয়া তাদের বাড়িতে সাদিক হোসেনকে বেড়ানোর কথা বলে সাদিকের সুজকি মটর সাইকেলে করে নিয়ে যায়।

এর এক ঘন্টা পর সাজু মিয়া বাড়িতে খবর দেয় সাঘাটা উপজেলার ভাঙ্গামোড় সাধুর আশ্রম নামে এলাকায়  ট্রাক্টরের ধাক্কায় সাদিক ও আকাশ সড়ক  গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে। তাদের গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সদর হাসপাতালে গিয়ে সাদিককে আহত অবস্থায় দেখতে পায়।

এসময় সাজু মিয়া কৌশলে সাদিককে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির কথা বলে পলাশবাড়ি উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।  সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সাদিকের লাশ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দাফন করা হয়। পরে তারা জানতে পারে সাজু মিয়ার ছেলে আকাশ আহত হয়নি এবং মারাও যায়নি এবং তখন থেকেই সাজু মিয়া ও তার ছেলে আকাশ গা ঢাকা দিয়েছে।

এতে  মৃত্যুর বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় প্রথমে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে সাঘাটায় থানায় পাঠায়। ফলে সাঘাটা থানায়  গেলে পুলিশ কোন মামলা না নিয়ে তালবাহানা করে। এদিকে নিহতের সাথে থাকা আকাশ মিয়া ও তার বাবা সাজু মিয়া আত্মগোপন করায়।

নিহতের পরিবার আবার থানায় গিয়ে সাদিকের লাশ ময়না তদন্ত ও মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দিয়ে তাদের বিদায় করে দেয়। অন্যদিকে সাজু মিয়া হত্যা মামলা না করার জন্য তার লোকজন দিয়ে নিহতের পরিবারকে হত্যা, গুম করাসহ নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কবর থেকে লাশ চুরি করার হুমকি দিয়ে আসছে।

ফলে নিহতের পরিবার ও ওই গ্রামের অধিবাসীরা রাত জেগে সাদিকের কবর পাহাড়া দিচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপারের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আকাশ, সাজু মিয়াসহ দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ পিবিআই পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়ার দাবি জানান।

সম্মেলনে বক্তব্য দেন নিহত সাদিকের মা জেলেখা বেগম, মামা আব্দুল জোব্বার, বড় ভাই জুয়েল মিয়া, রাশেদ মিয়া, মন্টু মিয়া, রুবেল মিয়া, লাখি বেগম, ছাত্তার মিয়া, নাসরিন বেগম প্রমুখ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS