সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সরকারি দীঘিরপাড় গ্রামে ভাড়াটে লোক দিয়ে ধান কাটার অভিযোগে ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্সসহ ২ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এনিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছিল। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার দুপুরে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছে জানা যায়, দীর্ঘদিন হতে ওই গ্রামের বাছরত উল্লার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, খলিলুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও সোনা মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে আদালতে ও হাইকোর্টে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
মামলার রায়ের ভিত্তিত্বে আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার গ্রুপ বিরোধপূর্ণ প্রায় ১২বিঘা জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদ করেন। হঠাৎ করে রোববার মোস্তাফিজার রহমান গ্রুপ ওই রায় হাইকোট স্থগিত করেছে মর্মে দাবি করে গাইবান্ধা জেলা শহর হতে ট্রাক এবং এ্যাম্বুলেন্সযোগে অন্তত ৫শ’ ভাড়াটে বাহিনী নিয়ে এসে বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটা শুরু করেন।
খবর পেয়ে গাইবান্ধা ও সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একটি ট্রাক, একটি এ্যাম্বুলেন্সসহ ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ।
আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার গ্রুপের লাবু খান জানান, হাইকোটের আদেশের ভিত্তিত্বে জমির ধান কাটা হয়েছে। বিরোধপূর্ণ জমির সমস্ত কাগজপত্র তাদের দাবি করেন। জোরপূর্বক মোস্তাফিজার রহমান এতদিন জমি দখল করে আসছিল।
মোস্তাফিজার রহমান জানান, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে তারা জমি ভোগদখল করে আসছে। হঠাৎ করে হাইকোর্টের রায়ের কথা বলে ভাড়াটে লোক দিয়ে ধান কাটা শুরু করে আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার গ্রুপ।
থানার ওসি মো. মাহবুব আলম বলেন, দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটার জন্য একটি পক্ষ বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একটি ট্রাক, একটি এ্যাম্বুলেন্সসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। এনিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।