পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ে মোবাইল চুরির অপবাদে পঞ্চগড়ে মজিদা বেগম (২৬) নামে এক নারীর কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
গত দুইদিন ধরে এই সংক্রান্ত মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা অবহিত না। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভিডিওতে দেখা যায়, একটি রিকশাভ্যান গাড়িতে এক নারীর সাথে তর্কে জড়িয়েছেন কয়েকজন নারী। এর মধ্যে এক ব্যক্তি ওই নারীকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখছেন। আর তা দাঁড়িয়ে উপভোগ করছে উৎসুক জনতা। তবে তর্কে জড়ানো নারী ও পুরুষের পরিচয় শনাক্ত করা না গেলেও তারা ঝলঝলি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী মজিদা বেগম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বামনহাট ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমানের স্ত্রী। দুই সন্তানের জননী হলেও সাংসারিক কলহের জেরে একই উপজেলার ঝলঝলি গ্রামে দিনমজুর বাবা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে থাকেন।
জেমজুট বাজারের ভাই ভাই হোটেল ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লা বলেন, সকালে দোকানের কাজ করছিলাম। হঠাৎ পঞ্চগড় থেকে একটি ভ্যানে দুই মহিলা ও এক পুরুষ আমার দোকানের সামনে আসে। এর মধ্যেই তারা তর্কে জড়ায়।
ভুক্তভোগী নারী এক পর্যায়ে গালাগালি করে আমার দোকানে চলে আসেন। তাদের সঙ্গে থাকা ছেলেটি আমার পাশের দোকান থেকে লাঠি নিয়ে তাকে মারতে গেলে ওই নারীও তাকে মারতে যায়। এর মধ্যে ৮-১০ জন মহিলা এসে তাকে ধরে বেঁধে ভ্যানে করে নিয়ে যায়। জানতে পেরেছি তারা ঝলঝলি এলাকা থেকে এসেছে।
ভুক্তভোগী মজিদা বেগম বলেন, আমি বাড়ি থেকে ২-৩ দিন আগে ওই দাদির বাড়িতে (বাবার খালা) গিয়েছিলাম। এর মধ্যে আমার কল এসেছে বলে দাদি আমাকে কথা বলার জন্য একটি মোবাইল দেয়। কথা বলার পর দাদিকে না পেয়ে আমি মোবাইলসহ বাড়ি চলে আসি। এর মধ্যে বাজারে এসে গ্রামের লোকজনসহ সবাই আমাকে চোর বলে মারধর করে বেঁধে বাড়িতে এনে দেয়।
মজিদার বাবা মোজাম্মেল হক বলেন, মেয়েটি আমার খালার বাড়িতে গিয়েছিল। পরে শুনতে পাই তাকে বাজারে ধরে বেঁধে মেরেছে। এখন সে আমার বাড়িতে আছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।