ভিডিও

ধান উৎপাদন ব্যয়ের সাথে অসঙ্গতির কারণে প্রতিবছর ধান সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হচ্ছে

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৪, ০৮:০৩ রাত
আপডেট: মে ১১, ২০২৪, ০৮:০৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরের সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে কৃষকদের ধান সরবরাহে জটিলতা, মাঠ পর্যায়ে প্রচারণার অভাব, ধান উৎপাদন ব্যয়ের সাথে সরকার নির্ধারিত দামের অসঙ্গতির কারণে প্রতিবছর ধান সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হচ্ছে বলে জানান কৃষক নেতারা।

রংপুর খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ধান সংগ্রহ অভিযান সফল করতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। একই সাথে কৃষকদের সুবিধার কারণেই সরকারের এমন উদ্যোগ। রংপুরের পীরগাছা উপজেলার বীরাহীম গ্রামের কৃষক আখলাক শেখ জানান, এবার সরকার ৩২ টাকা কেজি দরে ধান সংগ্রহ অভিযানের যে ঘোষণা দিয়েছে তা তিনি এখন পর্যন্ত জানেন না।

সরকারের নির্ধারণ করা দামে কখনই তারা বাজারমূল্য পাননি এমনি সরকারি খাদ্য গুদামেও ধান দিতে পারেননি। রংপুর খাদ্য বিভাগের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, গত কয়েকবছর ধরে রংপুর জেলায় ধান সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। যার অন্যতম কারণ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকদের যোগাযোগের অভাব।

চলতি মৌসুমে সারাদেশে ৫ লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু রংপুর অঞ্চলেই উৎপাদন হয় ২২ লাখ টনেরও বেশি। সরকারি খাদ্য গুদামে একজন কৃষক কী পরিমাণ ধান দিতে পারবেন সেটিই সহজেই বোঝা যায়। এত ধান উৎপাদনের পরও কেন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কৃষক নেতার।

রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুল আলম জানান, ধানের দর মূলত নির্ধারণ করা হয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে। ধানের দাম সরকার নির্ধারণ না করলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। তিনি বলেন, এত ধান সরকারের কেনা সম্ভব না। যাতে মধ্যসত্বভোগীরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন সে কারণেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

কৃষক নেতা তবিরুল হাসান জানান, কৃষকেরা যখন সরকারিভাবে খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করয়ে যায় তখন বিভিন্ন শর্ত আরোপ করা হয়। অনেক কৃষক সরকারের এই শর্তগুলো পূরণ করতে পারে না। এতে করে সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হয় আর কৃষকেরা ধানও দিতে পারে না। সরকারের উচিত কিছুটা শর্ত শিথিল করা। তা ধান সংগ্রহ অভিযান পরিপূর্ণ হবে।

সংগ্রহের পদ্ধতি কৃষকবান্ধব করা না গেলে লাভবান হবেন ব্যবসায়ীরা। অভিযান সফল করতে হলে কৃষকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করতে হবে। চলতি বোরো মৌসুমে রংপুর বিভাগে উৎপাদনের মাত্র ২ শতাংশ ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর গেল বছর এর পরিমাণ ছিল আরও কম। তারপরও সংগ্রহ অভিযান সফল করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS