ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনটে সরকারি ডাকবাংলোয় পোশাক কারখানার এক নারী কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় মহিদুল হাসান মিলন (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (১১ মে) দুপুরের পর ধুনট থানা থেকে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মহিদুল হাসান মিলন উপজেলার চিকাশি ইউনিয়নের সোনারগাঁ গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে।
গতকাল শুক্রবার মধ্যেরাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদরের হতদরিদ্র পরিবারের এক নারী (২৪) জীবিকার তাগিদে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
আর মহিদুল হাসান মিলন একই গার্মেন্টসে কাপড়ের ব্যবসা করে। সেই সুবাদে মেয়েটির সাথে মহিদুল হাসানের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে মহিদুল হাসান ৮ মে বিকেলের দিকে কৌশলে মেয়েটিকে ধুনট শহরে নিয়ে আসে।
এরপর স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ধুনট সরকারি ডাকবংলোর ২ নং কক্ষ ভাড়া নিয়ে সেখানে মহিদুল মেয়েটির সাথে দুই রাত যাপন করে। এ সময় ডাকবাংলোর কক্ষে বিয়ের প্রলোভনে মেয়েটিকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে মহিদুল। একপর্যায়ে মেয়েটিকে ডাকবাংলোয় রেখে ১০ মে সকালে মহিদুল হাসান কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মী বাদি হয়ে ১০ মে রাতে মহিদুল হাসান মিলনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করে।
ধুনট সরকারি ডারবাংলোর তত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপর মহলের বিশেষ তদবিরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ডাকবাংলোর ২ নং কক্ষটি ভাড়া নিয়েছিল। কক্ষের ভেতর তারা কি করেছে তা আমার জানা নেই।
ধুনট থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।