ভিডিও

সাঘাটা-সোনাতলা সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৪, ০৭:১২ বিকাল
আপডেট: মে ১৫, ২০২৪, ০৭:১২ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায়  সাঘাটা-জুমারবাড়ী-সোনাতলা সড়ক (জেড ৫৩৬) প্রশস্তকরণ কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে বালুর পরিবর্তে ধুলা-দলাযুক্ত মাটি, পরিমাণে কম ও নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে।

এলাকাবাসী সড়কের কাজে অনিয়মের বিষয়ে বাধা নিষেধ করে কোনো প্রতিকার না হওয়ায় তারা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরের সাথে সাঘাটা উপজেলার যোগাযোগ সহজতর করার জন্য সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন প্রচেষ্টা চালান।

তার এই প্রষ্টোয় সাঘাটার ঝাড়াবর্ষা তিনমাথা মোড় হতে ডাকাবাংলা বাজার পর্যন্ত সাঘাটা-জুমারবাড়ী-সোনাতলা (জেড ৫৩৬) ১৬৭৭ কি:মি: দৈর্ঘ্য সড়কের প্রশস্তকরণের নামে গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) একটি প্রকল্প পাস করে।

উক্ত প্রকল্পের মধ্যে সাঘাটার ঝাড়াবর্ষা তিন মাথামোড় হতে বারোকোনো বাজার পর্যন্ত ৭ কি:মি: সড়কের প্রশস্তকরণের জন্য ২০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদার সড়কের প্রশস্তকরণ কাজ শুরু করেন।

এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত সড়কটির প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হলেও দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে ব্যাপক অনিয়ম করছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সচেতন েেলাকজন। ঠিকাদারের লোকজন সড়কের বর্ধিত স্থানে বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে ভরাট করেছেন।

মাটির ওপর আবার আকারে বড় নিম্নমানের ইটের খোয়া ও পরিমাণেও কম খোয়া ফেলে দায়সারাভাবে প্রশস্তকরণ কাজ করছেন। এছাড়া সড়কের প্রশস্ত কমিয়ে ঠিকাদারের মনগড়াভাবে কাজ করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঝাড়াবর্ষা তিনমাথা হতে হাঁপানিয়া চৌমাথা মোড় পর্যন্ত অংশে সড়কের দু’পাশের কাজ বেশি অনিয়ম করা হয়েছে।

ডাকবাংলা এলাকার ওবায়দুর রহমান জানান, চলমান কাজে এমন অনিয়ম দেখে আমরা বাধা নিষেধ করলে ঠিকাদারের লোকজন তাদের কথায় কর্ণপাত না করে তারা তরিঘড়ি ভাবে দায়সারা কাজ করছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ তুলিপ বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকি না থাকায় কাজে এত অনিয়ম হচ্ছে।

জনস্বার্থে  নিম্নমানের ইটের খোয়া ও মাটি পরিবর্তন করে মানসম্পন্ন ইটের খোয়া দিয়ে পুনরায় কাজ সম্পন্ন করা উচিৎ। অন্যথায় সড়কটি অল্প দিনেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এব্যাপারে গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজ আক্তার এর সঙ্গে দফায় দফায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS