ভিডিও

সোনালী ধানে মাঠ ভরে গেছে

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৪, ১০:১৮ রাত
আপডেট: মে ১৮, ২০২৪, ১০:১৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : চারিদিকে শুধু ধান আর ধান। সোনালী ধানে মাঠ ভরে গেছে। সেখানে বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের সোনার ফসল ধান। ক্ষেতে বোরো ধানের শীষ দেখে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা যাচ্ছে। এ সোনালী ধানের শীষ কৃষকের নজর কেড়েছে। দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে চলতি মৌসুমে কৃষকের কাঙ্খিত স্বপ্নের এ ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সরজমিনে উপজেলার নশরতপুর, সাতনালা, আলোকডিহি, তেঁতুলিয়া, ফতেজংপুর, ইসবপুর, সাঁইতাড়া, আব্দুলপুর, আউলিয়াপুকুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত জোড়া সবুজ আর হলুদ রঙে সেজেছে বোরো ধানের ক্ষেত। ধানের ম-ম গন্ধে ভরে উঠেছে গ্রামীণ জনপদ। এখন মাঠ জুড়ে বোরো ধান সোনালী রঙ ধারণ করেছে।

জমিতে চারা লাগানোর পর থেকেই কৃষকেরা ভালো ফলনের আশায় সময়মতো নিবিড় পরিচর্যা, সার, সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন। এ কারণে আবাদও ভালো হয়েছে। এছাড়াও এবার ক্ষেতে তেমন কোনো রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণও নেই। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে কৃষকেরা পরিতৃপ্ত। এখন শুধু অপেক্ষার পালা নিরাপদে ধান ঘরে তোলার।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে লক্ষ্যমাত্রা ১৯ হাজার ৫৬১ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৬১৭ হেক্টর জমিতে। কোনো রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।

প্রতিবিঘা জমিতে অন্তত ৪০-৪৫ মণ ধান উৎপাদন হবে বলে কৃষকেরা আশা করছেন। এসময় কৃষক ও শ্রমিকেরা দলবদ্ধ হয়ে জমিতে ধান কাটা কাটতে সময় পার করছেন। এদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা। ইতোমধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। 
উপজেলার ১০নং পুনট্টি ইউনিয়নের হরনন্দপুর গ্রামের কৃষক রাশেদুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এবার আমি ১০ একর জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। ধান চাষে প্রতিবিঘা জমি প্রস্তুত, কীটনাশক, সার, পানি, নিড়ানী এবং কাটা-মাড়াই করতে অন্তত ১৫-১৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতিবিঘা জমিতে অন্তত ৪০-৪৫ মণ করে ধান পাওয়া যাবে। আমি আশা করছি, আশানুরুপ ফলন পাবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ফলনও আশানুরুপ হয়েছে। রোগবালাইও তেমন নেই। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে দ্রুত পাকা ধান কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS