নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীতে যৌতুকের জন্য গৃহবধূর মাথার চুল ও স্তন কেটে নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনে নির্যাতনে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। এসময় মানববন্ধনে নারী পুরুষসহ শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে নির্যাতিতার মা আছিয়া বেগম বলেন, ৮ বছর পূর্বে নরসিংদীর মেহেরপাড়া এলাকার লিটন মিয়ার সাথে আমার মেয়ে ইলমা আক্তারের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে মায়মুনা (৪) নামে একজন কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী লিটন মিয়া পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল। এরই মধ্যে ২ লাখ টাকা দেয়া হয়। ২৯ এপিল সকালে আরো ৫ লাখ যৌতুন এনে দেয়ার দাবি করেন। আমার মেয়ে যৌতুকের টাকা দিতে পারবে না বলে জানালে মেয়ের শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাসুর ও দেবর মিলে আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি ভাবে কিল-ঘুষি মেরে জখম করে।
ওই সময় আমার মেয়ের হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্বামী লিটন যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় আমার মেয়েকে হত্যা করার জন্য বাসা গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে লোহার বড় গরম করে আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁক দিয়া চামড়া পোড়া জখম করে এবং নির্যাতন করে। খবর পেয়ে আমার মেয়েকে হাত-পা বাঁধা মুমূর্ষ অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় মাদবদী থানায় স্বামীকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু এখনও আসামি গ্রেফতার হয়নি। এরই প্রতিবাদে রোববার এই মানববন্ধন করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।