মফস্বল ডেস্ক : ঢাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছন চালকরা। সোমবার (২০ মে) সকালে রাজধানীর উত্তরা বিআরটিএয়ের সামনে থেকে শুরু হয় মিছিল তাদের। মিছিলটি ১২ নম্বর সেক্টর খালপাড়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা জানান, অটোরিকশা রাজধানীর কোন কোন এলাকায় চলবে, তা নির্ধারণ করে দিতে হবে মন্ত্রণালয়কেই। পুরোপুরি বন্ধ করলে বিপাকে পড়বে হাজারো পরিবার। এদিকে, পুরো সময় ধরে তৎপর ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। কেউ কোনও বিশৃঙ্খলা করলে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তারা।
রোববার (১৯ মে) অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পল্লবী থানায় পাঁচ শতাধিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে এরইমধ্যে।এর আগে বুধবার (১৫ মে) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭-এর অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটিএর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৈঠকে ঢাকার দুই সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না। নির্দেশ ছিল বন্ধেরও। ওই বৈঠকে ঢাকার দুই সিটি মেয়র, বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে পর রোববার থেকে শুরু হয় সেই নির্দেশনা মাফিক কাজ। আজও বন্ধ আছে সড়কে ভাঙাচোরা গাড়িও অটোরিকশা চলাচল। তবে স্বল্প গাড়ি চলায় বিপাকে পড়েছেন অফিসগামীরা। আবার এ আন্দোলনের ফলে বৈধ রিকশাওয়ালা বাড়িয়ে দিয়েছে ভাড়া। বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।