ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : চারিদিকে সবুজ পাতার ছাউনি, বাঁশের মাচার সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ, কালো, সবুজ রঙের তরমুজ, প্রতিটি তরমুজে বাঁধা রয়েছে নেট।
এমন দৃশ্য দেখা মেলে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের ভিমলপুর গ্রামের একটি জমিতে। ওই এলাকার আব্দুল হামিদ নামের এক কৃষক মাচা পদ্ধতিতে ওই তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সহায়তায় উপজেলার ৮জন কৃষক এ পদ্ধতিতে তরমুজ চাষের প্রদর্শনী করেছন।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খরিফ-১ মৌসুমে প্রথমবার এবছর উপজেলায় ১ দশমিক ৬ একর জমিতে মাচা পদ্ধতিতে তৃপ্তি, অনুভব ও ব্লাক বেবি জাতের তরমুজ চাষ প্রদর্শনী করা হয়েছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকার ৮জন কৃষক, ২০ শতক করে জমিতে এই প্রদর্শনী করেছেন। এ চাষে কৃষকদের বীজ, জৈব সার, জৈব বালাই নাশকসহ সার্বিক পরামর্শ প্রদান করছেন কৃষি অধিদপ্তর।
এছাড়াও ফসল পরিচর্যার জন্য প্রতিটি কৃষককে ৩ হাজার করে টাকা দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তারা। প্রদর্শনী ছাড়াও নিজ উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় এক একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন অনেক কৃষক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার জানান, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খরিফ-১ মৌসুমে প্রথমবার এবছর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকায় ১ দশমিক ৬ একর জমিতে মাচা পদ্ধতিতে তৃপ্তি, অনুভব ও ব্লাক বেবি জাতের তরমুজ চাষ প্রদর্শনী করা হয়েছে। কৃষকদের বীজ, জৈব সার, জৈব বালাই নাশকসহ সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল সোমবার বিকেলে ভিমলপুর মাঠে তরমুজ প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের জেলা প্রশিক্ষক জাফর ইকবাল, প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক রাকিবুজ্জামান, মনিটরিং ও ইভালুয়েশন কর্মকর্তা মশিউর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ রুম্মান আক্তার, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা শাহানুর রহমান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।