শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : মেয়েকে তালাক দেওয়ায় জামাইকে জামাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলা ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর আগে শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে শিক্ষক হারুন অর রশিদের (৩৬) সাথে একই গ্রামের ফখরুল মোল্লার মেয়ে রেখা খাতুনের (২৫) বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিলনা। এ নিয়ে গ্রামে শালিশ দরবার হয়েছিল । ২ মাস আগে নিহত হারুন অর রশিদ তার স্ত্রী রেখা খাতুনকে তালাক দেয়। এরই ঘটনার সুত্র ধরে গত শুক্রবার বিকেলে ছেলের শ্বশুর ফখরুল মোল্লার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পোরজনা বাজার থেকে হারুনকে তুলে নিয়ে একটি জমির মধ্যে পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে দেয়।
পরে জমির মধ্যে থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে গ্রামবাসি। পরে থানার পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। থানার ওসি আসলাম হোসেন গতকাল রোববার জানান, নিহত ব্যাক্তি পাবনার আমিনপুর রতনগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। দুই মাস আগে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার কারনে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে পোরজনা বাজার থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। নিহতের শরীরে অসংখ্য লাঠির বাড়ির চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় হারুনের বাবা আলাউদ্দিন বাদি হয়ে ১৯ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় হত্যার সাথে জড়িত হরিনাথপুর গ্রামের বাশার (৪০) মকলেছুর রহমান (৪৫) ও আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে পোরজনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাবু জানান, পারিবারিক দ্বন্ড ও নিহত ব্যাক্তি হারুন অর রশিদ তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার জন্য তাকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে । তার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাদপুর সার্কেল মো: কামরুজ্জামান জানান, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি তবে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ায় ঘটনায় তারা শিক্ষক পিটিয়ে হত্যা করে । অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।