কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় তিস্তা শাখা মানাস নদীর ওপর পাকা সেতু নির্মাণ হয় দশ বছর আগে। বন্যায় সেতুটি হেলে পড়ে এবং দ্ইুপাড়ের এ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে যাওয়ায়, কাজে আসছে না সেতুটি। স্থানীয়দের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর ওপর অস্থায়ীভাবে কাঠের সাঁকো নির্মাণ করায় দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হয়েছে। দ্রুত সেখানে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের মাঝদিয়ে প্রায় ৬০ মিটার প্রস্থ তিস্তার শাখা নদী বয়ে গেছে। পাকা সেতুর অভাবে নদীর দুইপাড়ের আরাজি হরিশ্বর, বুদ্ধিরবাজার, গোপিডাঙ্গাচর এবং লালমনিরহাট সদরের চররাজপুর চরপাগলারহাট, চর চাংড়া, চরখলাইঘাটসহ ১০ গ্রামের মানুষের পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ অবস্থায় উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) ২০১৪ সালে সরকার ও ইউএসএআইডি সংস্থার অর্থায়নে তিস্তার শাখা মানস নদীর ৩৭ লাখ ২৪ হাজার ১৮৩ টাকা ব্যয়ে ১৭ মিটার দৈর্ঘ্য একটি বক্স সেতু নির্মাণ করে। সেতু নির্মাণ হলে স্থানীয়রা অনেক আনন্দিত হয়। কিন্তু ২০১৭ সালে বন্যায় সেতুটি হেলে পড়ে এবং দ্ইুপাড়ের এ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় হাজারো মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। স্থানীয় লোকজন সেতুর দুইপাড়ে অস্থায়ীভাবে সাঁকো নির্মাণ করে।
এতে দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হলেও কৃষক, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, এ নদীতে গার্ডারযুক্ত সেতু নির্মাণ করা দরকার ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় আরসিসি ছোট বক্স কালভার্ট নির্মাণ করায় বন্যার সময় স্রোত ও কচুরি পানায় পানির প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় সেতুর দুইপাশের এ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে নদীতে তলিয়ে যায়। সেতুটিও একদিকে হেলে দেবে গেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জাম জেমি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা ঢাকা অফিসে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন এবং বরাদ্দ পেলে দরপত্র আহবানের মাধ্যমে সেতু ও এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।