ভিডিও

বীরগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রার অফিসে দুদকের অভিযান, আলামত জব্দ

প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৪, ০৫:৪৮ বিকাল
আপডেট: মে ৩১, ২০২৪, ০৬:১৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দিনাজপুর জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে উপসহকারী পরিচালক মোছা. কামরুন নাহার সরকার, সহকারী পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান, উচ্চমান সহকারী মো. শাহাজাহান আলীসহ মোট চারজনের একটি দল অভিযানে অংশ নেন।

টানা দেড়ঘন্টা অভিযানে সাব-রেজিস্ট্রার রিপন চন্দ্র মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভুক্তভোগীর জবানবন্দি গ্রহণ এবং অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্কসহ বেশকিছু আলামত জব্দ করেন দুদুক কর্মকর্তারা।

তদন্ত শেষে দুদক কর্মকর্তারা চলে যেতে চাইলে সাবরেজিস্ট্রার অফিসের মূল ফটক বন্ধ করে সাবরেজিস্টার রিপন চন্দ্র মন্ডলকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করে ভূক্তভোগী এবং স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশের সহযোগিতায় সাবরেজিস্টার অফিস ত্যাগ করেন দুদক কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, বাবার নামের বাটোয়ারা জমি নিজের নামে রেজিস্ট্রি করতে গেলে অতিরিক্ত টাকা ছাড়া সাবরেজিস্ট্রার রিপন চন্দ্র মন্ডল জমি রেজিস্ট্রি করবেন না বলে জানিয়ে দেন। পরে বাধ্য হয়ে মুহুরির মাধ্যমে অতিরিক্ত ৬০০০ টাকা ঘুষ দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করাতে হয়েছে।

অপর ভুক্তভোগী ঠাকুরগাঁও জেলার গড়েয়ার মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, ভায়া দলিল এবং মাঠপর্চা না থাকলে নামজারি থাকার পরও বাটোয়ারা দলিল চায়। না থাকলে অতিরিক্ত ৭ হাজার টাকা ফি দাবি করে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বীরগঞ্জ সাবরেজিস্টার অফিসার রিপন চন্দ্র মন্ডল বলেন,আমি সরকারি বিধি মোতাবেক দলিল সম্পন্ন করে থাকি। কোন পাবলিক  সরাসরি আমার কাছে আসেনি।

এজন্য আমার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ করা হয়েছে আমি বিষয়টি জানি না। অভিযানের বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, অনিয়ম ও দুনীর্তির অভিযোগ এনে দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে কল করে প্রধান কার্যালয় দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছিলেন ভুক্তভোগী।

সেই অভিযোগে তদন্তে কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক আমরা এখানে এসেছি। বেলা ১১ টা থেকে এখানে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করি। এরপর  বেলা ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান শুরু করা হয়। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

বেশ কিছু আলামত জব্দ করেছি। সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত তথ্য রিপোর্ট আকারে কমিশনের কাছে দাখিল করা হবে। পরবর্তীতে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS