পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : স্বামীর মৃত্যুর পর দুই বছর ধরে ধরনা দিয়েও পেনশনের টাকা না পাওয়ায় প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এক গৃহবধূ রওশন আরা।
জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের পার্বতীপুর লোকো সেডে কর্মরত থাকাকালে ফিটার গেট-২ এর কর্মচারী গোলাম আজমীর হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালের ৭ জুন মৃত্যুবরণ করেন। তার টিকিট নাম্বার ৬১৭।
মৃত্যুকালে তিনি দুই স্ত্রী ও এক প্রতিবন্ধী ছেলে রেখে যান। প্রথম স্ত্রীর নাম রওশন আরা ও তার প্রতিবন্ধী ছেলে মাসুদ রানা(৩১) এবং দ্বিতীয় স্ত্রী শিল্পী। পার্বতীপুর পৌরসভা কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র অনুযায়ী মরহুম গোলাম আজমির হোসেন পার্বতীপুর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউজ কলোনী মহল্লার বাসিন্দা ছিলেন।
স্বমীর মৃত্যুর পর থেকে পেনশনের টাকা উত্তোলনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ রেলওয়ের পাকশী দপ্তরে ধরনা দিলেও কোন সুরাহা হয়নি এবং কোন টাকাও পায়নি। এমতাবস্থায় প্রতিবন্ধী ছেলে সন্তান মাসুদ রানাকে নিয়ে চরম হতাশার মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছেন রওশন আরা বেগম।
রওশন আরা অভিযোগ করে বলেন, একটি কুচক্রীমহল তাকে এবং তার সন্তানকে বাদ দিয়ে মৃত স্বামীর পেনশনের সমুদয় টাকা দ্বিতীয় স্ত্রীর একক নামে উত্তোলন করার জন্য নানা ফন্দি করছে। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।