সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : সারিয়াকান্দিতে কয়েকদিন ধরেই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যমুনার সাথে বাড়ছে বাঙালির পানিও। পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার সকল প্রকার নৌঘাটগুলো সচল। কয়েকমাসের নাব্যতা সংকট কাটিয়ে ফিরছে নাব্যতা।
সারিয়াকান্দিতে গত কয়েকদিন ধরেই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত শুক্রবার ১১.২৭ মিটারে থাকা এ নদীর পানির উচ্চতা শনিবার ১১.৮৭ মিটার হয়। এরপর গত রবিবার পানির উচ্চতা হয় ১২.১৪ মিটার। আজ সোমবার (৩ জুন) পানির উচ্চতা হয় ১২.৪৬ মিটার।
তাই এ উপজেলায় গত শুক্রবার থেকে শুরু করে সোমবার পর্যন্ত ৪ দিনে পানি ১ মিটার ১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর সংশোধিত পানির বিপৎসীমা ১৬.২৫ মিটার।
তাই পানি এখনো বিপৎসীমার ৩ মিটার ৭৯ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে এ উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া বাঙালি নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল রবিবার বাঙালি নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১০.৫৬ মিটার। আজ সোমবার এ নদীর পানির উচ্চতা হয় ১০.৬৪ মিটার। এ নদীর পানির বিপৎসীমা ১৫.৪০ মিটার। তাই পানি এখনো বিপৎসীমার অনেক নীচেই রয়েছে।
এদিকে কয়েকদিনের পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনা নদীর জেগে ওঠা প্রায় সকল ডুবোচরগুলো ডুবতে শুরু করেছে। ফলে এ নদীর নাব্যতাও ফিরতে শুরু করেছে। নাব্যতা ফেরায় উপজেলার কালিতলা, দেবডাঙ্গা, চন্দনবাইশা, রৌহাদহ, পারতিত পরল, হাসনাপাড়া, হাটশেরপুর, নিজ বলাইল, সাহান বান্ধাসহ সবগুলো নৌঘাটগুলো সচল হয়েছে। ফলে এসব নৌঘাটগুলো যাত্রীদের চাপে সবসময় মুখরিত থাকছে। নাব্যতা ফেরায় চরাঞ্চলের এলাকাবাসী নৌকাযোগে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করছেন স্বাচ্ছন্দে।
এতে তাদের কৃষিফসল পরিবহনও সহজ হয়েছে। উপজেলার পৌর এলাকার কালিতলা নৌঘাটের ভাড়া নৌকার মাঝি আমিনুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীর নাব্যতা সংকটের ফলে গত কয়েকমাস ধরেই আমরা নানা ভোগান্তিতে নৌকা চলাচল করেছি।
বেশিরভাগ সময়েই নৌকা ডুবোচরে আটকে যেতো। গত কয়েকদিন ধরেই যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌকা চলাচল করতে আর কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। অনায়াসেই সকল চরে নৌকা নিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিঃ) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, উজানে ভারি বৃষ্টির জন্য যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই একদিন পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর পানি সমতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর থেকে পানি কমতে শুরু করতে পারে।
তবে উজানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়লে এ ধারনার পরিবর্তন হতে পারে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এ উপজেলায় বন্যার কোনও আশংকা করা যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।