লিবিয়া থেকে মানবপাচার মামলার ভিকটিম রোমেল মিয়াকে (৩৪) উদ্ধারসহ এ ঘটনার সাথে জড়িত মানবপাচার চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নরসিংদীর জেলা পিবিআই। গত ২৪ মে তাকে হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে পিবিআই পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, ওয়াসিম হোসেন (২৮), সোহেল (২৪) ও আকারিছ মিয়া (৫৪)।
আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার বিস্তারিত তুলেন ধরেন পিবিআই নরসিংদী জেলার ইউনিট ইনচার্জ অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত হোসেন মান্নান। এসময় পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সের পুলিশ সুপার (সিআরও এন্ড মিডিয়া) আবু ইউসুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) নাসিম মিয়া এবং পিবিআই নরসিংদী জেলার পুলিশ পরিদর্শক (নি.) সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রহমত উল্লাহর সাথে বাদির চাচাতো ভাই আরাফাত লিবিয়া থাকতেন। তারই সুবাদে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয়। বাদির ভাই রোমেলকে লিবিয়ায় নেয়ার কথা বলে ৪ লাখ টাকার চুক্তি করে। গত ১৪ মার্চ টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই যান। পরে দুবাই থেকে মিশর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে য্যা। এরপর তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন পর ইমু নম্বরে ভিডিও কলে লাইভে এসে ভিকটিমকে মারধর করতে থাকে এবং বাঁচাতে চাইলে মুক্তিপন বাবদ ১২ লাখ টাকা দাবি করে। পরবতীর্তে আসামি বিল্লাল ও তার সহযোগী আসামিরা বাদির ইমুতে ১২টি বিকাশ নম্বর পাঠিয়ে ১২ লাখ টাকা তাৎক্ষনিক পাঠাতে বলে।
গত ১০ এপ্রিল বাদি বাবুল পিবিআই নরসিংদী কার্যলয়ে এসে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ভিকটিম রোমেলকে লিবিয়ার জিম্মি দশা থেকে নিরাপদে উদ্ধার ও জিম্মিকারী ও মুক্তিপন চক্রের বাংলাদেশে অবস্থানকারী সদস্যদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে আসামি ওয়াসিম হোসেন ও আকারিছ মিয়াকে গ্রেফতার করাসহ অপরাধ কর্মে ব্যবহৃত ৯টি মোবাইল ফোন, মুক্তিপনের দেড় লাখ টাকা ও বিকাশ সিমসহ মোট ২২টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।