যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম হালদারসহ ৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে পাঠানো অন্যরা হলেন আরিফুল ইসলামের ছোট ভাই উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান হালদার এবং টংগীবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হালদারসহ ৯ জন। হত্যা মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষে আবারও জামিন চান তারা।
মুন্সীগঞ্জ আদালত পুলিশের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আদেশ অনুযায়ী তাদের বিকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
গত ৮ এপ্রিল টংগীবাড়ী উপজেলায় পূর্ববিরোধের জেরে দিঘীরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় যুবলীগ নেতা সোহরাব খানকে (৬৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হন নিহতের ছেলে জনি খান। নিহত সোহরাব দিঘীরপাড় ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি।
এ ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল নিহতের বড় ভাই আব্দুল মান্নান খান বাদী হয়ে আরিফুর রহমান হালদারসহ ১২ জনকে আসামি করে টংগীবাড়ী আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক মামলাটি সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন আসামিরা। পরে জামিনের মেয়াদ শেষ হলে নিম্ন আদালতে হাজির হন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।