ডিএম রাশেদ, পোরশা (নওগাঁ): কয়েক বছরের তুলনায় এবছর আমের ভাল দাম পেয়ে খুশি নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলের আম চাষিরা। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর বাজারে সকল প্রকার আম তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আমের ফলন কম তবে ভাল দাম পেয়ে ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে চাষিদের।
পোরশা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র সারাইগাছী বাজার, পোরশা সদর বাজার, তেঁতুলিয়া বাজার, নোচনাহার বাজার, শিশা বাজার ও বড়গ্রাম বাজার এবং সাপাহার উপজেলা সদরের আমের আড়ৎগুলোতে ফরমালিনমুক্ত গাছ পাকা আম কেনা-বেচা শুরু হয়েছে। সকল জাতের আমের দেখা পাওয়া না গেলেও গত কয়েকদিনে বাজারে গুটি জাতীয়, গোপালভোগ ও খিরসাপাতি (হিমসাগর) আম পাওয়া যাচ্ছে। এ আম শেষ হতে না হতেই পাকতে শুরু করবে আমের রাজা বলে খ্যাত ল্যাংড়া এরপর পর্যায়ক্রমে ফজলী, রূপালী ও আশ্বিনা।
এবছর গুটি জাতীয় আম ১মণ (৫২কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা। গোপালভোগ একই ওজনে প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৮০০ টাকা। আর খিরসাপাতি(হিমসাগর) প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ থেকে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন এ উপজেলার বিভিন্ন আড়ৎ থেকে অর্ধ শতাধিক ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন শহর এবং এলাকায় আম রপ্তানি করা হচ্ছে।
পোরশা উপজেলার সহড়ন্দ গ্রামের আমচাষি হাবিবুর রহমান দৈনিক করতোয়াকে জানান, এবছর আমের ফলন তুলনামূলক কম। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর বাজারে আমের দাম অনেক ভাল। তাই ফলন কম হলেও, দাম ভাল পেয়ে ক্ষতি পুষিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
উপজেলার পাইকারি আম ব্যবসায়ী সজল মিয়া জানান, আড়তে প্রতিদিন গুটি, গোপালভোগ ও খিরসাপাতি আম বেচা-কেনা হচ্ছে। একদিকে এলাকায় আমের ফলন কম, অন্যদিকে মোকামে চাহিদা বেশি থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর আমের দাম অনেক বেশি।
পোরশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনূর রশিদ দৈনিক করতোয়াকে জানান, নওগাঁর অন্যান্য উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ আম চাষ হয় পোরশা উপজেলায়। এবছর উপজেলায় ১০হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। উপজেলার মাটি আম চাষের উপযোগী হওয়ায় এখানকার আম অনেক সুস্বাদু বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।