গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে মারধর করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দন্ডিত আসামি ইজারাদার আমান উল্লাহকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ জলিল ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে কাপাসিয়া থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোরে টোক ইউনিয়নের বীর উজলী নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার এম এ জলিল (৬৮) কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি উপজেলার উজলী গ্রামের মোহর আলী বেপারীর ছেলে। তার সহযোগী ফাইজ উদ্দিন (৫৫) একই গ্রামের আব্দুছ ছোবহানের ছেলে। ঘটনার পর থেকে উজলী দিঘির বাজারের ইজারাদার চেয়ারম্যানের ভাতিজা একই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে আমান উল্লাহ পলাতক রয়েছেন।
কাপাসিয়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই রাশেদ মিয়া জানান, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে মারধর এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের দন্ডিত আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে টোক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ জলিলসহ ২৩ জনের নামে পুলিশ মামলা করে। ওই মামলায় তাকেসহ তার এক সহযোগীকে ভোরে গ্রেফতার করা হয়।
কাপাসিয়া থানার টোক পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী এএসআই লুতফুল রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। টোক ইউনিয়নের উজলী দিঘির বাজারে পশুর হাট নিয়ে দ্ব›দ্ব নিরসনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পুলিশ কনস্টেবল লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় এ মামলা করা হয়।
কাপাসিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আজিজুর রহমান জানান, বুধবার বিকালে কাপাসিয়ার উজলী দিঘিরপাড় বাজারে ইজারা না নিয়ে গরুর হাট বসে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইজারাদারকে ওই হাট সরিয়ে নিতে বলেন। বাজার সরিয়ে না নেওয়ায় ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আমান উল্লাহকে দন্ড দেন। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় টোক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ জলিলসহ তার লোকজন পুলিশকে মারধর করে বাজারের ইজারাদার আসামি আমান উল্লাহকে ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার পর থেকে উজলী দিঘির বাজারের ইজারাদার চেয়ারম্যানের ভাতিজা একই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে আমান উল্লাহ পলাতক রয়েছে। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কাপাসিয়া ইউএনও এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, ইজারা না নিয়ে বাজার বসানোয় উজলী দিঘিরপাড় বাজারের ইজারাদার আমান উল্লাহকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়। পরে তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ওই ঘটনায় চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।