শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : শেষ মুহূর্তে এসে বগুড়ার শাজাহানপুরে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট। আজ শুক্রবার (১৪ জুন) বগুড়ার অন্যতম কোরবানির পশুর হাট সুলতানগঞ্জে ছিল শেষ হাটবার। তাই পশুর আমদানি ছিল ব্যাপক। বেচাকেনাও হয়েছে বেশি।
প্রতিবছরের মতো এবারও বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি চাহিদা বেশি। গত সোমবারের হাটের তুলনায় প্রতিটি পশু শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ কম দামে বেচাকেনা হয়েছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
দেশি জাতের ছোট ও মাঝারি ষাঁড় বিক্রি হয়েছে ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকায়। শাহী ওয়াল, পাকিস্তানী, হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান ও শংকর জাতের বড় আকারের ষাঁড় বিক্রি হয়েছে ৩ থেকে ৬ লাখ টাকায়। অপরদিকে, দেশি জাতের ছোট ও মাঝারি খাসি ছাগল ১০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা এবং রাম ছাগল ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
পশুর হাটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশী টহলের ব্যবস্থা, জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ স্থাপন, ভেটিরিনারী হাসাপতালের ক্যাম্প স্থাপন এবং সতর্কতামূলক মাইকিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। এ বছর সুলতানগঞ্জ হাট ইজারা না হওয়ায় খাস আদায় করা হচ্ছে। তবে বর্ধিত হারে পশুর হাসিল আদায় করা হচ্ছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ।
বগুড়া শহরের আব্দুস সামাদ নামের এক ব্যক্তি আজ শুক্রবার (১৪ জুন) সুলতানগঞ্জ হাট থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় একটি মাঝারি আকারের দেশি ষাঁড় কিনেছেন। তিনি জানান, পশু রাখার জায়গার অভাব এবং দেখাশোনার ঝামেলা এড়াতেই শেষ মুহূর্তে কোরবানির পশু কিনলেন।
আব্দুস সামাদের মতো শহর ও শহরতলীর আশপাশ এলাকার অনেক ক্রেতাই শেষ পর্যায়ে কোরবানীর পশু কেনার কারণ হিসেবে পশু রাখার জায়গার অভাব এবং কোরবানীর আগ মূহূর্ত পর্যন্ত পশু দেখাশোনার ঝামেলার কথা জানিয়েছেন।
উপজেলার শ্মশানকান্দি উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক নাইম জানান, কোরবানী উপলক্ষে মোটাতাজা করার উদ্দেশ্যে তিনি ৮ মাস আগে ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকায় একটি ষাঁড় গরু কিনেছিলেন। প্রতি মাসে খাদ্য বাবদ ৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
সে হিসেবে নিজের পারিশ্রমিক বাদেই ওই ষাঁড়টির খরচ পড়েছে ২ লাখ ৬ হাজার টাকা। গতকাল সুলতানগঞ্জ হাটে ওই ষাঁড়টির সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, যা ওই কৃষককে চরম ভাবে হতাশ করেছে। আজ শনিবার উপজেলার দুবলাগাড়ী হাট এবং আগামী রোববার রাণীরহাটে ফের বসবে কোরবানির হাট।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।