গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সরকারি রেকর্ডভুক্ত তিনটি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তা ৬ মাস ধরে বন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকবার রাস্তাটি খুলে দেওয়ার জন্য গেলেও রাস্তা খুলতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
এতে করে পরিবারগুলো গৃহবন্দি হয়ে চরম দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের সিট বাগপুর এলাকায়। রাস্তাটি বন্ধের প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও রাস্তাটি উদ্ধারে কোনো সুরাহা হয়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিট বাগপুর এলাকার বাসিন্দা বিজয় চন্দ্র সরকারসহ তিন পরিবার স্বাধীনতার পূর্ব থেকে সেখানে বসবাস করে আসছিলেন। ছয় মাস আগে স্থানীয় বাসিন্দা প্রতাব চন্দ্র, তাপস চন্দ্র ও তার বাবা বিরেন্দ্রনাথ মিলে তাদের সরকারি রেকর্ডভুক্ত চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি জবর দখল করে বন্ধ করে দেন। এতে পরিবার ৩টি প্রায় ৬ মাস ধরে গৃহবন্দি অবস্থায় অতিকষ্টে জীবনযাপন করছে।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন গেলে দেখা যায়, পুলিশ ও ভূমি অফিসের সার্ভার রাস্তাটি দখল মুক্ত করে দেওয়ার জন্য গেলে অভিযুক্ত প্রতাব চন্দ্র, তাপস এবং বিরেন্দ্র তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে গালিগালাজ করেন এবং উল্টো সার্ভেয়ার ও পুলিশদেরকেই দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে তারা দখল মুক্ত না করেই চলে আসেন।
এসময় উপস্থিত উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি আজকেসহ ৪দিন আসলাম তারা ইচ্ছেকৃত ভাবেই কিন্তু রাস্তা খুলে দিচ্ছেন না তারা গায়ের জোর দেখাচ্ছে। তাদের সাথে মনোমালিন্য থাকার কারণেই তারা এ ধরনের কাজ করছেন। তারা কোনভাবেই মানুষের জন্য চলাচলে সরকারি রাস্তা দখল করতে পারে না। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি আমি আমার উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
এবিষয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, আমি সেখানে পুলিশ এবং ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে পাঠিয়েছিলাম তারা ব্যর্থ হয়ে চলে এসেছেন। এজন্য আমি সার্ভেয়ারকে বলেছি যারা এই সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে। যেহেতু বিষয়টি মানবিক তাই আমরা হার্ডলি দেখছি। এক থেকে দু’দিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে আশা করছি ইনশাআল্লাহ্।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।