গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধায় বাঁশের তৈজস ও বাহারি শিল্পকর্ম বন বিভাগের মহিদুলের সাফল্য এনে দিয়েছে। মহিদুলের কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠান স্বপ্নচূড়ার বাঁশ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন গিফট আইটেম ও শিল্পকর্ম স্থানীয়ভাবে, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বেশ হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে। শিল্পীর শিল্প যদি যুগোপযোগী ও নান্দনিক হয় তবে শিল্পী তার শিল্পের বড়াই করতেই পারেন। কিন্তু মহিদুলের কোনো বিরক্তি নেই, নেই কোনো শিল্পের বড়াই।
স্ত্রী ফারজানা ববি রজন ও মহিদুল হাসি মুখে তাদের প্রতিষ্ঠান স্বপ্নচূড়ার ইতিহাস, সফলতার কাহিনীর বিবরণ দেন অকপটে। বন বিভাগে চাকরি করতেন মহিদুল ইসলাম। কীভাবে মহিদুল সফলতার মুখ দেখতে শুরু করলেন, এক ভিন্ন মেধা ও অধ্যাবসায় ছাড়া সেটা সম্ভব নয়। মহিদুল একজন অসাধারণ মেধার মানুষ এবং তার গবেষণা ও অধ্যাবসায় নিয়ে তিনি তৈরি করেছেন বাঁশের অনেক গিফট আইটেম।
বাঁশের কারুকাজে তিনি বানিয়েছেন বাঁশের ভেতর জীবন্ত গাছ, অফিসিয়াল কলমদানি, ওয়াল ল্যাম্প, চায়ের কাপ, মগ, কানের দুল, টেবিল ফুলদানি, ওয়াল ফুলদানি, অ্যাশট্রে, কাটা চামচ, টেবিল চামচ, ট্রে, উপজাতীয় হুকাসহ ঘর সাজানো ও ব্যবহারযোগ্য নানা রকমের গিফট আইটেম। সাদামাটা হাসিতে মহিদুল জানান, এই কাজে তিনি কোনো প্রশিক্ষণ পাননি।
বামনডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে নেমে রংপুর রোডের দুই কিলো রাস্তা অতিক্রম করলেই মহিদুলের বাড়ি। পুরো নাম মো. মহিদুল ইসলাম তার বয়স প্রায় ৩৯ বছর। বাবা মৃত আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডল। কিভাবে এত নিখুঁত কারুকাজে নকশা করে বানানো শুরু সম্পর্কে তিনি জানান, তার বাবা বন বিভাগে চাকরি করতেন। বাবার একজন সহকর্মী মহিদুলের বাঁশ দিয়ে একটি ড্রাম বাজানোর স্টিক তৈরি করা দেখে আশ্চর্য হন এবং বলেন তুমি একদিন এ বিষয়ে খ্যাতি অর্জন করবে।
মহিদুল সেই থেকে বাবার সহকর্মীর সেই কথা তাকে উৎসাহ যোগায়, নিজের চেষ্টায় তৈরি করতে শুরু করেন বাাঁশের তৈজসপত্রসহ রকমারী কারুকাজ। পেইন্টের কাজও শিখেছেন মদিুল।
তিনি বাঁশের কাজের পাত বানিয়ে তার ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি পেইন্টের মাধ্যমে এতই সুন্দর করে বানিয়ে তার চেম্বারের ওপরে রেখেছেন যে প্রথমেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষিত হয় এই ছবি দেখে। মাহিদুল একজন সফল পুষ্টি বাগানের মালিকও।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।