ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানে বাঁধ ভাঙা খুশি। শিশু থেকে শুরু করে যুবক, বৃদ্ধ সকলেই ঈদের আনন্দে মেতে উঠেন। নতুন জামাকাপড় পরে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগী করতে প্রিয়জনদের সাথে নিয়ে ঘোরা ফেরা করতে পছন্দ করে সবাই।
এমনি দৃশ্য দেখা মেলে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি এলাকার লেকে। ঈদের আনন্দ উচ্ছ্বাসে একসাথে ছোটাছুটি করে ঘুরে বোড়াচ্ছেন বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়ে ও নারী-পুরুষরা। এদের মধ্যে বেশির ভাগই তরুণ-তরুণী ও শিশু। দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত হয়ে উঠেছে লেকের পাড়। কেউ সেলফি তুলছেন, কেউ নৌকায় ঘুরছেন, কেউ আবার পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন লেক পাড়।
ফুলবাড়ী শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি জলাশয়টি। এর আগে এখানে জিয়াগাড়ী নামে একটি গ্রাম ছিল। সেই গ্রামসহ আশপাশের এলাকাটি ভূগর্ভস্থ থেকে কয়লা উত্তোলনের ফলে ৪শ’ একর জমি ধীরে ধীরে মাটি দেবে গিয়ে কয়েকবছর পর তলিয়ে গিয়ে এলাকাটি বড় ধরনের জলাশয়ে পরিণত হয়। পরে সরকার ভূমি মালিকদের কাছ থেকে ওই জমি অধিগ্রহণ করে।
বর্তমানে লেকটি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি লেক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। তাই ঈদ ও পরবর্তী সময় বিনোদনের জন্য আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই স্থানটি। প্রতি বছর ঈদের সময় একটু মুক্ত প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে নানা বয়সের দর্শণার্থীরা এই জলাশয়ের পাশে এসে ভিড় জমায়।
ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে কেউ প্রিয়জনদের নিয়ে আবার অনেকে বন্ধু বান্ধবদের সাথে নিয়ে ঘুরতে আসেন এই মনোরম পরিবেশে।
গোধূলি বেলায় লেকের অপরূপ দৃশ্য যেন প্রকৃতির একেবারেই কাছে টেনে নেয়। লেকের পানিতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য রয়েছে নৌকা, যা সহজেই দর্শণার্থীদের আকৃষ্ট করে। জনপ্রতি ৫০টাকাতে নৌকাতে ঘুরতে পারে। লেকের পাড়ে রয়েছে অস্থায়ী কিছু ছোট ছোট খাবারের দোকানও। ঈদের সময় ছাড়াও প্রতিদিন শত শত দর্শণার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত হয়ে ওঠে জলাশয়টি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।