ভিডিও

ভারী বৃষ্টিতে ২ বিভাগে ভূমিধসের শঙ্কা 

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসে নিহত ১০

সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৪, ১০:০৬ রাত
আপডেট: জুন ২০, ২০২৪, ১০:৫২ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

করতোয়া ডেস্ক : কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাঁচটি স্থানেপাহাড় ধসে ১০জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বুধবার বলেন, “মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে সকালের মধ্যে ১, ৮, ৯, ১০ ও ১৪ নম্বর ক্যাম্পে পাহাড় ধসের এসব ঘটনা ঘটে। এ পর্যন্ত ১০জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।”
এর মধ্যে ১ নম্বর ক্যাম্পে একজন, ৮ নম্বর ক্যাম্পে একজন, ৯ নম্বর ক্যাম্পে তিনজন, ১০ নম্বর ক্যাম্পে চারজন এবং ১৪ নম্বর ক্যাম্পে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএন-৮ এর অধিনায়ক আমির জাফর বলেন, নিহতদের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশি নাগরিক; বাকি আটজন রোহিঙ্গা।
১০ নম্বর ক্যাম্পে নিহতরা হলেন-ব্লক ১০ এর আবুল কালামের ছেলে আবু মেহের (২৫), লাল মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৫৭), মতিউর রহমানের মেয়ে সলিমা খাতুন (৪২) এবংশরিফ হোসেনের মেয়ে জয়নব বিবি (১৯)।
৯ নম্বর ক্যাম্পে নিহতরা হলেন-চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট এলাকার আলী জহুরের ছেলে মো. হোসেন আহমেদ (৫০), ওই ক্যাম্পের আই-৪ ব্লকের আলী জোহারের মেয়ে আনোয়ারা বেগম (১৮) এবংআই-৯ ব্লাকেরমো. জামালের ছেলে মো. সালমান (৩)।
৮ নম্বর ক্যাম্পে নিহত হনবি-৮২ ব্লকের মো. হারেজের ছেলে মো. হারেজ (৪)। ১৪ নম্বর ক্যাম্পেউখিয়ার থাইংখালী এলাকার শাহ আলমের ছেলে আব্দুল করিম (১২) মারা গেছে।
আর ১ নম্বর ক্যাম্পে নিহত হয়েছেন-এফ/৫ ব্লকের সুলতান আহমদের মেয়ে পুতনী বেগম (৩৪)।
কক্সবাজারে মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কখনও ভারী, কখনও মাঝারি বৃষ্টির মধ্যে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটল।
আশ্রয়কেন্দ্রের অনেক বসতি রয়েছে পাহাড় ঘেঁষে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। পাহাড় ধসে জানমাল এড়াতে লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, বুধবার সকাল ৬টায় ১০ নম্বর ক্যাম্পের বক্ল সি-৩ এ পাহাড় ধসে চারজন মাটিচাপা পড়েন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
রাত ৩টায় ৯ নম্বর ক্যাম্পের আই-৪ এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভোর ৪টার দিকে ৮ ও ১৪ নম্বর ক্যাম্পে পাহাড় ধসে আরও দুজন মারা যান।
মিজানুর রহমান বলেন, নিহতদের মধ্যেদুজন স্থানীয় বাসিন্দা। এর মধ্যে ৯ নম্বর ক্যাম্পে নিহত চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকার হোসেন আহমেদ নানা কারণে ক্যাম্পে অবস্থান করতেন। আর ১৪ নম্বর ক্যাম্পে মারা যাওয়া আব্দুল করিমের বাড়ির আশ্রয়কেন্দ্রেরপাশেই। এসব ঘটনায় কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে।
এদিকে, কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের উপ-সহকারীপরিচালক তোফায়েল আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিতে ২ বিভাগে ভূমিধসের শঙ্কা : এদিকে, দেশে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী বায়ু। এমন অবস্থায় চার বিভাগে ভারী বর্ষণের সতর্কবাণী দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বৃষ্টির কারণে দুই বিভাগে ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 
বুধবার আবহাওয়া অফিসের ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সতর্কবাণীতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে। 
সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত : বুধবার আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় সংস্থাটি জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে দমকােঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS