বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ উম্মে সরাবন তহুরা তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মাকসুদ হোসেন আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করেন আদালত। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) রকিবউদ্দিন আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাকসুদ হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি। গত ৮ মে অনুষ্ঠিত বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হন তিনি। গত ১১ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন মাকসুদ।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল মাকসুদের বিরুদ্ধে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানা বেগম (৪৩) যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বন্দর থানাকে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।
মামলায় ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ১৯৯৮ সালে মাকসুদ হোসেন তাঁকে বিয়ে করেন। তাঁদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের সময় প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখেছিলেন মাকসুদ। সুলতানা বেগম বিষয়টি জানতে পেরে তাঁকে বাড়িতে তোলার জন্য চাপ দেন। কিন্তু মাকসুদ তাঁর কথা শোনেননি। উল্টো বাবার বাড়ি থেকে পাওয়া সম্পত্তি বিক্রির জন্য স্ত্রীকে তিনি চাপ দেন।
ওই সম্পত্তির মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। সেই সম্পত্তি বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় দীর্ঘদিন মাকসুদ তাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে রেখে দেন। ২০২২ সালে এ বিষয়ে চাপ দিলে স্ত্রীকে তিনি সম্পত্তি বিক্রি করে আসতে বলেন। বারবার সম্পত্তি দাবি করায় ওই বছরের ১৩ নভেম্বর মাকসুদের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেন তার স্ত্রী।
গত ২১ এপ্রিল রাতে মাকসুদ তার বন্ধুদের নিয়ে সুলতানা বেগমের বাবার বাড়িতে হাজির হন। এ সময় মামলা তুলে নিতে চাপ দেন এবং ওয়ারিশ সম্পত্তি বিক্রি করে মাকসুদের হাতে দিলে তাকে পুনরায় স্ত্রীর মর্যাদায় ঘরে তোলার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে মাকসুদ তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। একপর্যায়ে বাধা দিলে মেয়েসহ সুলতানাকে মারধরের পর হুমকি দিয়ে চলে যান মাকসুদ। এ ঘটনায় ২৩ এপ্রিল আদালতে মামলার আবেদন করেন সুলতানা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।