শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: জমি জমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার লক্ষ্মীকোলা গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী গাবতলি উপজেলার কর্নিপাড়া ও পেরী গ্রামের মানুষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত পৌঁনে ৮টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে গাবতলি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পেরী গ্রামের হায়দার আলী নামের এক ব্যক্তির ৫ শতক জমি ছিল পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীকোলা গ্রামে। তিনি ১০-১২ বছর আগে ওই জমি লক্ষ্মীকোলা গ্রামের বুলু মাস্টারের কাছে বেচে দেন। সম্প্রতি ওই জমির দখল ভোগ নিয়ে হায়দার আলীর ভাতিজা হারেজ উদ্দিনের সাথে লক্ষ্মীকোলা গ্রামের সাবেক মেম্বার আজিজার রহমানের বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে হারেজ উদ্দিনের মারপিটে আজিজার মেম্বার গুরুতর আহত হন। ওই মারপিটের জের ধরেই আজ সন্ধ্যায় দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। লক্ষ্মীকোলা গ্রামের মৃত ছলেমান মন্ডলের ছেলে মাসুদ রানা (৪০) দাবি করেন, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় পেরীর হাটে থাকা তার চাউলের দোকান এবং কর্নিপাড়া গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে পুটু মিয়ার মুদি দোকান ও আব্দুল হান্নানের কাপড়ের দোকানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে পেরী গ্রামের বারী শাহ্'র ছেলে আতাউর রহমান খোকন (৩৮) অভিযোগ করে বলেন, আজ সন্ধ্যায় ধোড়া গ্রামে তাকে একা পেয়ে জমি জমার বিরোধের জের ধরে কর্নিপাড়া গ্রামের ইনসানের ছেলে বাবু (৪০) মারপিটে আহত করে। সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে। এসময় প্রতিপক্ষের মারপিটে ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান, বারী শাহ্, সাখাওয়াত সহ ৪-৫জন আহত হন।
গাবতলি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুস শুকুর জানিয়েছেন, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সংবাদ পাওযার সাথে সাথে একদল ফোর্স নিয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃস্টি হয়েছিল। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।