কুমিল্লায় রোহিঙ্গা যুবককে জন্ম নিবন্ধন করে দেওয়ার অভিযোগে এক ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের নিমাইকান্দি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।পরে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার ইসমাইল মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের সচিব ছিলেন।
জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে মুরাদনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল গ্রামের ভুয়া পরিচয়ে জন্ম নিবন্ধন বানিয়ে পাসর্পোট করতে গিয়ে কর্মকর্তাদের হাতে আটক হন ইয়াছিন (১৯) নামের এক রোহিঙ্গা যুবক। পরে ওই রোহিঙ্গা যুবককে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই রোহিঙ্গা যুবক জানান, তিনি মিয়ানমারের বাসিন্দা। দেশটির বলিবাজার এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে তিনি।
ইয়াছিন আরও জানায়, তিনি তার চাচাতো ভাই ওসমানের সহযোগিতায় কুমিল্লার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন মদিনা ট্রাভেলসের হাসান মাহমুদ ও মোশাররফ নামে দুই দালালের কাছে পাসপোর্ট করার চুক্তি করে। পরে চুক্তি অনুযায়ী হাসান মাহমুদ ও মোশাররফ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পশ্চিম ঘোড়াশাল গ্রামের ভুয়া ঠিকানায় ইয়াছিনের সকল কাগজপত্র তৈরি করে দেয়। এই ঘটনায় ওই সময় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
রোহিঙ্গা যুবক কীভাবে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করেছে বিষয়টির তদন্ত করতে গিয়ে ইউপি সচিব ইসমাইল হোসেনসহ বেশ কয়েকজনের সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পায় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এরপরই তাকে আটক করা হয়।
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি রাজেশ বড়ুয়া জানান, রোহিঙ্গা যুবককে জন্মনিবন্ধন দেয়ার মামলায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ইসমাইলকে আটক করা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।