ভিডিও

বগুড়ার আদমদীঘিতে এজেন্ট শাখার মালিক ও ক্যাশিয়ারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ইসলামি ব্যাংকের টাকা আত্মসাত ঘটনায় বিক্ষোভ

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৪, ০৮:৪৫ রাত
আপডেট: জুন ২৩, ২০২৪, ১১:০৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখার গ্রাহকের আমানতের হিসাব থেকে প্রতারণার মাধ্যমে এক কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে আত্মসাত করার ঘটনায় এবার এজেন্ট শাখার মালিক নুরুল ইসলাম সোহাগ ও ক্যাশিয়ার সুজন রহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ এখনও এজাহাভুক্ত কোন আসামিকে গ্রেপ্তার ও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে জামানতকারি গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। আজ রোববার (২৩ জুন) সকালে জামানতকারি গ্রাহকরা তাদের আমানতের টাকা ফেরত ও আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখা অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

দুপুরে চাঁপাপুর এজেন্ট শাখার চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম আমানতকারিদের বুঝিয়ে প্রায় এক ঘন্টা পর ব্যাংকের তালা খুলে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। মামলা ও গ্রাহক সূত্রে জানা যায়, চাঁপাপুর বাজারে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম মালিক হিসাবে একটি ইসলামি ব্যাংক পিএলসি ব্যাংকিং এজেন্ট শাখার প্রায় ৫ বছর যাবত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।

গত ২৬ মে ওই ব্যাংকের গ্রাহকরা তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলতে এসে দেখেন তাদের একাউন্টে কোন টাকা নেই। এ নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হলে ব্যাংকের ওই শাখার স্বত্বাধিকারি নুরুল ইসলাম তাদের ব্যাংকের অনলাইন একাউন্টে হিসাব নিকাশ চেক করে দেখতে পান ৪০ জন গ্রাহকের একাউন্টে টাকা জমা না করে প্রতারণার মাধ্যমে এক কোটি ২০ লাখ টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাত করে উধাও হয় ওই ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুজন রহমানসহ তার সহযোগীরা।

এ ঘটনায় ব্যাংক শাখার মালিক নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ২৮মে আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির গোবিন্দপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে ওই ব্যাংকের ক্যশিয়ার সুজন রহমান (২৭), তার বাবা এনামুল হক (৪৬) ও মাতা রুবিয়া খাতুন (৪২) কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

এরপর গত ১১ জুন ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ এর দুপচাঁচিয়া শাখার ব্যবস্থাপক কাজী মিজানুর রহমান বাদি হয়ে চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক শাখার এক কোটি ৫০ লাখ টাকা বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে প্রতারণা করে আত্মসাতের অভিযোগে পূর্বের মামলার বাদি চাঁপাপুর এজেন্ট শাখার মালিক নুরুল ইসলাম সোহাগ, একই গ্রামের ক্যাশিয়ার সুজন রহমান, মুবাশির ইসলাম সিয়াম, কামারপুকুর গ্রামের মাহমুদুল শেখ ও গোবিন্দপুর সোনারপাড়া গ্রামের আব্দুল ছালাম সাহানাকে আসামী করে অপর একটি মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার কিংবা আত্মসাত হওয়া টাকা উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে জামানতকারি গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। আজ রোববার (২৩ জুন) সকালে চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখায় আমানতকারিরা তাদের জামানতের টাকা ফেরত ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন।

চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখার চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলার তদনতকারি উপ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার জানান, পৃথক দুটি মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার ও লুন্ঠিত টাকা উদ্ধারে প্রযুক্তি ব্যবহারে র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালাচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS