ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : ছোট যমুনার তীর ঘেঁষা দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহর। প্রায় সাড়ে পাঁচ বর্গ কিলোমিটারের পৌর এলাকার প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এ শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য রয়েছে একটি মাত্র সড়ক।
যা ঢাকা-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক নামেই পরিচিত। এই সড়কের পৌর এলাকার ওপরে বাস পার্কিংসহ কোথাও সিএনজি চালিত থ্রি হুইলার ও ইজিবাইক এবং বাসের যাত্রী ওঠানামার জন্য নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নেই। তাই ব্যস্ত সড়কে দাঁড়িয়ে থাকছে যানবাহনগুলো। শুধু তাই নয়, দূরপাল্লার যাত্রীবাহী নাইট কোচগুলোও সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী উঠাচ্ছে।
ফলে ফুলবাড়ী পৌর এলাকা জুড়ে প্রায় সময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ঘটছে দুর্ঘটনাও। যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনার সাথে যুদ্ধ করে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এখানকার বাসিন্দারা। সাথে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের নিমতলা মোড়, উর্ব্বশী সিনেমা হলের সামনে থেকে বড় ব্রিজের পশ্চিম প্রান্ত এবং ঢাকা মোড়, রেলগেট পর্যন্ত যাতায়তের প্রধান সড়কের দুইপাশে যত্রতত্র রাখা হয়েছে ইজিবাইক, সিএনজি চালিত থ্রি হুইলারসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।
বিশেষ করে উর্ব্বশী সিনেমা হলের সামনে বড় ব্রিজের পূর্ব প্রান্তে ঢাকাগামী দূরপাল্লার যাত্রীবাহী নাইটকোচ ও আন্ত:জেলা যাত্রীবাহী বাসগুলো থামিয়ে যাত্রী উঠানামার কারণে ওই এলাকায় প্রায়শই যানজট লেগে থাকছে।
ফুলবাড়ী মহিলা কলেজের প্রদর্শক মোস্তাক আহম্মেদসহ কয়েকজন জানান, জরুরি প্রয়োজনে কাছে ও দূরের হাজারও মানুষ প্রতিদিন উপজেলা সদরে আসে। নির্দিষ্ট করে কোনো বাসস্ট্যান্ড, সিএনজি ও অটোবাইকের স্ট্যান্ড না থাকায় এভাবেই রাস্তার ওপরেই সব ধরনের যানবাহন ইচ্ছেমতো রেখে যাত্রী ওঠা নামা করছে।
রাস্তার ওপরই ঘণ্টার পর ঘন্টা ওঠানামা করা হচ্ছে মালপত্র। অনেক সময় দেখা গেছে এই যানজটের কারণে জরুরি প্রয়োজনে এ্যাম্বুলেন্স আটকে পড়ছে। ফুলবাড়ী পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক পরিতোষ কুমার রায় জানান, পৌর এলাকায় লাইসেন্স ধারী রিকশা-ভ্যানের সংখ্যা ৭শ’ থেকে ৮শ’, মিশুক রিকশা ৭৮টি এবং ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ৮/১০টি রয়েছে। তবে এর বাইরে অনেক বেশি এস যান রয়েছে যারা পৌর লাইসেন্স ছাড়াই চলছে।
তবে পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য শিগগিরই টেন্ডারের মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজার রহমান জানান, আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং এর সিদ্ধান্ত বিষয়টি নিয়ে ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র মো. মাহমুদ আলম লিটন বলেন, পৌর শহরের যানজটের প্রধান কারণ হলো যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং এবং যেখানে সেখানে যাত্রী ও মালামাল ওঠানামা করা।
বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে ফুলবাড়ী মোটর পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নকে একাধিকবার বলা হয়েছে, পৌর শহরের প্রধান সড়কটির যত্রতত্র যাত্রীবাহী বাস, কোচ দাঁড় করিয়ে যেন যাত্রী না তোলে, কিন্তু বাস্তবে তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।