গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের টঙ্গীতে রিফাত মোল্লা (২২) নামে এক যুবককে হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে লাশ তুরাগ নদের পানিতে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টর এলাকার পার্কের মূল ফটকের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত রিফাত মোল্লা নরসিংদীর রায়পুরা থানার হাইরজারা গ্রামের ইসমাইল হাসানের ছেলে। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম সিয়াম আহম্মেদ (১৯)। সে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার মৃত মঞ্জু মিয়ার ছেলে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১-এর সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘তদন্তে হত্যায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় সিয়ামকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে তাকে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে র্যাব কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘উত্তরখান থানার ফায়দাবাদ এলাকায় ফুফুর বাসায় থেকে ইলেকট্রনিক শোরুমে চাকরি করতেন রিফাত। ঈদুল আজহার দিন সন্ধ্যা ৬টায় ফুফুর বাসা থেকে কোরবানির মাংস নিয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার আদর্শপাড়ায় মায়ের বাসায় যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাইরে ঘুরতে বের হন। সাড়ে ৯টার দিকে মায়ের সঙ্গে মোবাইলে সর্বশেষ কথা হয়। ১০টার দিকে মা তার মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে বন্ধ পান। এরপর আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খুঁজেও ছেলের সন্ধান পাননি। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে তুরাগ নদে লাশ ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে টঙ্গী নৌ-ফাঁড়ির পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। পরদিন টঙ্গী পশ্চিম থানায় হত্যা মামলা করা হয়। এরপর ছায়া তদন্ত করে সিয়ামকে গ্রেফতার করে র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম কয়েকজন সহযোগী নিয়ে রিফাতকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে উল্লেখ করে র্যাব-১-এর সহকারী পরিচালক আরও বলেন, ‘তবে কেন হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি সিয়াম। পুলিশ রিমান্ডে নিলে বিস্তারিত জানতে পারবে। ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও গ্রেফতার করা হবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।