জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : প্রভাবশালী কর্তৃক জয়পুরহাটের ধারকি গ্রামের সাত পাড়ার চার হাজার পানিবন্দি মানুষের পানি নিস্কাশনের বন্ধ পথ খুলে দিলো প্রশাসন। প্রভাবশালী ব্যক্তি শাহ আলম কর্তৃক ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ার কারণে দেড়মাস পানিবন্দি ছিলেন তারা।
গ্রামবাসীর জনদুর্ভোগের ওই অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজীর নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া ড্রেন খুলে দিয়ে সোমবার পানি নিস্কাশন করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গ্রামবাসীর দুর্ভোগের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজীর নির্দেশে সোমবার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদা সিফাত ধারকী গ্রামে গিয়ে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ খুলে দেন। এসময় ধারকী গ্রামের শাহ আলম স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ তার লোকজন উচ্ছেদ কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ধারকী আকন্দপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী মাসুদ আলী জানান, উচ্ছেদকৃত ড্রেনের গভীরতা কম হওয়ায় পানি খুব ধীরে নামছে। ফলে সারারাতে জলাবদ্ধ পানির কিছুটা কমলেও এখনও তারা শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না। প্রশাসনের উদ্যোগেই পানি নিষ্কাশনের পথ প্রশস্ত ও গভীর করার মাধ্যমে তাদের এই জনদুর্ভোগ লাঘব সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
উচ্ছেদের সময় উপস্থিত থাকা ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল বলেন, প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল সোমবার বিকেলে পানি নিষ্কাশনের বন্ধ থাকা ড্রেন উচ্ছেদ করা হয়েছে। গ্রামের জলাবদ্ধ পানি ওই পথে ধীর গতিতে অপসারিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিরোধের কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় গত দেড় মাস জয়পুরহাটের ধারকী গ্রামের সাত পাড়ার প্রায় চার হাজার মানুষ পানিবন্দি থাকার খবর জানার পর ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ লাঘবে তৎপরতা শুরু করে জেলা প্রশাসন।
এ নিয়ে দৈনিক করতোয়াসহ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। আবার সমস্যা সমাধানের জন্য ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগও করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।