চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে বড়াল নদীর বুক জুড়ে ভাসমান কচুরিপানা জমে থাকায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে জনজীবনে। নদীতে জোয়ারের পানি এলেও কচুরিপানার কারণে চলমান নেই পানির প্রবাহ। আর নদী ব্যবহার করতে না পারায় এ এলাকার হাজার হাজার মানুষের জীবন যাত্রায় দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসের দিকে এ এলাকার নদ-নদীগুলোতে জোয়ারের পানি এলেও কচুরিপানায় বন্ধ হয়ে যায় নদী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জলপাইগুড়ির পাহাড় থেকে উৎপন্ন হওয়া আত্রাই ও গুড় নদী রাজশাহীতে এসে কয়েকটি শাখায় বিভক্ত হয়ে পরে। এর একটি শাখা কয়রাবাড়ি, নন্দনালী ও আত্রাই হয়ে আত্রাই ঘাটের এক মাইল ভাটি হতে ‘গুড়’ নামে সিংড়া, একান্ন বিঘা, যোগেন্দ্রনগর ও কালাকান্দরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাঁচকৈড় ত্রীমোহনায় নন্দ কুজার সাথে মিশেছে।
এদের মিলিত স্রোত গুমানী নামে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে সেনগ্রাম ত্রিমোহনা এলাকায় দু’টি শাখায় বিভক্ত হয়েছে। একটি শাখা ভাটিতে নূরনগরে বড়াল নদীর সাথে মিশেছে। সেনগ্রাম ত্রিমোহনা থেকে অপর শাখা মির্জাপুর হয়ে ভাটিতে গিয়ে দুই শাখা পুনরায় একত্র হয়ে যমুনায় মিশেছে।
এ ব্যাপারে চাটমোহর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আক্তার হোসেন জানান, কচুরিপানা জমে থাকায় প্রায় দেড় মাস ধরে নদীতে কোনো প্রকার পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সচল করতে দ্রুত কচুরিপানা অপসারণ করা প্রয়োজন। তিনি আরও জানান, নদীটি পৌরসভার মধ্যে, তাই পৌরসভা থেকে কচুরিপানা অপসারণের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব এসএম মিজানুর রহমান বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমের মতো সারাবছর বড়ালে পানি থাকলেই একে বাঁচানো সম্ভব।’ বড়াল যেভাবে দখল হয়েছে, যা এখনো হচ্ছে, সেটি রোধ করা দরকার। একইসাথে বড়াল এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
সকল এলাকার বর্জ্য, ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে বড়ালে। এ বিষয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। তিনি আরও জানান, বড়ালে কচুরিপানা অপসারণের জন্য পাবনা-৩ সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ও চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিমের সাথে কথা হলে কচুরিপানা অপসারণের পদক্ষেপ নেব বললেও এখনও কোনো পদক্ষেপ নেননি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।