শরীয়তপুর প্রতিনিধি : গত এক সপ্তাহে শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১০০টি রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে মেরেছে আতঙ্কিত জনতা। কেউ আবার রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করে তুলে দিয়েছেন স্নেক রেসকিউ টিমের হাতে। এভাবে প্রতিদিন রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা পড়ায় ছোট বড় সকলের মাঝে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আতঙ্ক।
বুধবার সকাল পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, জাজিরা ও গোসাইরহাটসহ অন্যান্য উপজেলা থেকে এসব রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার হয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশে রাসেলস ভাইপার সাপ বিলুপ্ত ঘোষণা করার পরে ২০২০ সালের ১০ জুলাই শরীয়তপুরের পদ্মা ও মেঘনা বেষ্টিত চরাঞ্চল কাঁচিকাঁটা ইউনিয়নের মাথাভাঙা গ্রামের এক জেলের মাছ ধরার ফাঁদে সর্বপ্রথম রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরে সাপটি স্থানীয় সাপুড়ে মিনু ঢালী সংরক্ষণ করে রাখার কয়েক দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের ভেনম রিসার্চ সেন্টার কর্তৃপক্ষ এসে সাপটি গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য নিয়ে যায়। এরপর জেলায় কয়েক বছর রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা না মিললেও গত দেড় মাসে সখিপুরের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই একাধিক স্থানে দেখা মিলছে বিষধর এই সাপটির। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রকল্পের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের তথ্য মতে, বর্তমানে দেশের ২৭টি জেলায় রাসেলস ভাইপার সাপ রয়েছে। সরকারি হিসেব মতে ২৭ জেলায় রাসেলস ভাইপার সাপ থাকলেও উদ্ধার হওয়ার প্রাপ্ত সংখ্যার হিসেব অনুযায়ী সংখ্যার পরিমাণ একটু বেশিই যেন শরীয়তপুরে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ বছর শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, জাজিরা, গোসাইরহাট ও নড়িয়া উপজেলায় রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলেছে। তবে এখন পর্যন্ত শরীয়তপুর সদর ও ডামুড্যা উপজেলায় রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রবের খবর পাওয়া যায়নি। গত এক সপ্তাহে শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১০০টি বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০টিরও বেশি রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধারের ঘটনাস্থলসহ বিস্তারিত জানা গেছে। গত এক সপ্তাহে ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ২৭টি রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয়রা। এরমধ্যে উপজেলার বিভিন্নস্থানে ৮টিসহ সখিপুরের উত্তর ও দক্ষিণ তারাবুনিয়া এলাকায় ৫টি, চরসেনসাস এলাকায় ৪টি, চরভাগায় ৬টি, কাঁচিকাঁটায় ৩টি ও সখিপুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে ২টি রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।