এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীরা বিপাকে
দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া দুপচাঁচিয়ায় বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়েছে। প্রচন্ড গরমে বিদ্যুতের এই ভেলকিবাজিতে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ছন্দপতন ঘটছে। জনজীবনে নেমে এসেছে নাভিশ্বাস। মিল কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা সেই সাথে এইচএসসি-আলিম পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চরম বিঘ্ন ঘটছে।
নেসকো, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে, এই কেন্দ্রের অধীনে প্রায় ২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহর চাহিদা রয়েছে। পাওয়া যাচ্ছে ১২ থেকে ১৩ মেগাওয়াট। ঘাটতি থাকছে প্রায় ১৬ মেগাওয়াট, ফলে লোডশেডিং চলছে।
এই কেন্দ্র থেকে দুপচাঁচিয়া-কাহালু দু’টি উপজেলাসহ তিনটি পৌরসভার তিনটি হিমাগার, দুইটি বিস্কুট কারখানা, ২টি পেপার মিল, ১টি টাইলস মিল, ১১ টি অটো রাইস মিল, ১টি ময়দার মিল, প্রায় সাড়ে ৭ শত রাইস মিলসহ মোট ৯ হাজার ১৭টি মিল কারখানা ছাড়াও ৩ শত ৭৯ শ্যালো মেশিন ও ডিপ টিউবয়েল, ৩ শত ২৮ টি মসজিদ, মন্দির, হাসপাতালসহ প্রায় ৩৯ হাজার ৫শ’ জন গ্রহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১১ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ১ ঘণ্টা থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। বিদ্যুৎ গ্রাহক ঊষা ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরীর স্বত্বাধিকারী দ্বিজেন্দ্রনাথ বসাক মন্টু জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় কারখানার উৎপাদন অর্ধেক নেমে গেছে। দিন রাতে গড়ে মাত্র ৯ থেকে ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে। জেনারেটর দিয়ে কারখানা চালিয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ এর ঘন-ঘন লোডশেডিং এর ফলে মেশিন পুড়ে যাচ্ছে।
উপজেলা চাল কল মালিক সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক সরদার জানান, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে এই ভরা মৌসমে চাতালের চাল উৎপাদন অনেকাংশে কমে গেছে। লোডশেডিং এর ফলে বোরো সংগ্রহ অভিযান হুমকির মুখে পড়তে পারে।
এ দিকে আগামী ৩০ জুলাই রোববার থেকে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। বিদ্যুতের এই ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে তারাও পড়েছে বিপাকে। এ ব্যাপারে আজ বুধবার (২৬ জুন) উপজেলা বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগের (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলী রকি চন্দ্র দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তাদের কারিগরি কোন ত্রুটি নেই।
তবে জাতীয় গ্রিড থেকে কম বিদ্যুৎ বরাদ্দ দেওয়ায় লোডশেডিং চলছে। এই অবস্থা শুধু দুপচাঁচিয়া ও কাহালু উপজেলার নয় বগুড়া জেলা সহ বিভিন্ন এলাকার একই অবস্থা। এ ক্ষেত্রে তাদের কিছু করার নেই বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।