ভিডিও

সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে একব্যক্তির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৪, ০৭:৪৬ বিকাল
আপডেট: জুন ২৭, ২০২৪, ০৭:৪৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে হারুনার রশিদ ওরফে মাসুদ রানা (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড আনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়। দন্ডপ্রাপ্ত মাসুদ রানা সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার খামারবড়ধুল গ্রামের আবদুল্লাহ আল মাহমুদের ছেলে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হারুনার রশিদ ওরফে মাসুদ রানার সঙ্গে ফরিদপুরে নগরকান্দা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের তারা ফকিরের মেয়ে তানিয়া সুলতানার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। ২০২০ সালে জানুয়ারিতে তানিয়ার (প্রথম পক্ষ) স্কুল পড়ুয়া বড় মেয়েকে তার ঘরে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এবং খুন করার হুমকি দিয়ে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ওই মেয়েকে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি স্কুলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে মোটরসাইকেল যোগে হারুন ঢাকায় একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানেও জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি দেখান। পরের দিন ৩০ জানুয়ারি সৎ মেয়েকে নিয়ে নগরকন্দায় বাড়িতে আসলে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম দেখতে পান তানিয়া সুলতানা। পরে তিনি গ্রামের লোকজনকে ডাক দিলে তারা হারুনার রশিদকে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে নগরকান্দা থানায় ধর্ষণ মামলা করা হয়।

নগরকান্দা থানার সহকারী উপপরিদর্শক অসীম মন্ডল ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত দীর্ঘ শুনানী শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্বপন কুমার পাল জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন দন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের নির্দেশে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS