সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : চরবাসীসহ কাইম এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের জন্য গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা খেয়াঘাটে তিস্তা শাখা নদীর উপর প্রায় ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে আরসিসি পিলারের উপর নির্মিত কাঠের ব্রিজটি জনগণের যাতায়াতের জন্য খুলে দিতে না দিতেই দেবে যাওয়ায় দুর্ভোগ থেকেই গেল।
জানা যায়, বেলকা বাজার সংলগ্ন তিস্তার শাখা নদীতে এ খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত শত শত সাধারণ মানুষ তাদের প্রয়োজনের তাগিদে মীরগঞ্জ, শোভাগঞ্জ, বেলকা বাজার, গাইবান্ধা জেলা শহর ও উপজেলায় যাতায়াত করেন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন তাদের প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। বর্ষাকালে যাতায়াতে পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ।
তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল খেয়াঘাটে একটি ব্রিজ নির্মাণ। দাবি পূরণে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সাধারণের আওতায় ৩৪৪ ফুট দীর্ঘ ৬ ফুট প্রস্থ কাঠের ব্রিজ নির্মাণের জন্য ২৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে উপজেলা প্রশাসন।
সেই মোতাবেক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের লটারিতে নির্বাচিত ঠিকাদার মেসার্স শাহানুর ইসলাম (ছানা) নামে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৫ শতাংশ নিম্ন দরে ২৭ লাখ ৫০ হাজার ২৫০ টাকায় ব্রিজ নির্মাণের কাজটি পায়।
পরে দায়সারাভাবে কাজটি সমাপ্ত দেখালে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা ব্রিজটি ব্যবহার শুরু করেন। কিন্তু গত ২০ জুন রাতে ব্রিজের ৪টি আরসিসি গাডার পিলার দেবে যায়। এতে ব্রিজ দিয়ে চলাচলকারীদের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। যে কোনো মুহুর্তে ব্রিজটি ভেঙে প্রাণহাণিসহ জনদুর্ভোগ আরও বাড়াতে পারে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ জানান, ব্রিজটি নির্মাণের জন্য যে ডিজাইন করা হয়েছিল তাতে ত্রুটি ছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ব্রিজসহ এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি এবং ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।