নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : সরকারি চাকরি করলেও কৃষির প্রতি ভালোবাসা অকৃতিম। সে আসক্তি থেকেই কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার গোপালপুর ডাঙ্গিরপাড়ের মাইমুন ইউটিউবে দেখে ছুটিতে বাড়িতে এসেই পৈত্রিক তিন বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে করেছেন পেঁপের চাষ। তার অবর্তমানে ছোটভাই পল্লী চিকিৎসক মফিজুল দেখাশুনা করেন সে ক্ষেত। দুই ভাইয়ের প্রচেষ্টায় ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
আনছার ব্যাটেলিয়ান সদস্য মাইমুন (৩০)। কৃষক বাবা আব্দুল জলিলের প্রথম ছেলে তিনি। চাকরির আগে পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার সাথে মাঠে কাজ করেছেন। পরিবারের চাপে নয় বরং কৃষির প্রতি ভালোবাসা থেকেই সঙ্গ দিয়েছেন বাবাকে। এখন কর্মস্থলে সুযোগ পেলেই ইউটিউবে কৃষি বিষয়ক ভিডিও দেখেন। সেখান থেকেই কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দিতেন ছোটভাইকে।
এবার আর ধান চাষ নয় ইউটিউবের অনুপ্রেরণায় তিনবিঘা জমিতে লাগিয়েছেন গ্রিনলেডি জাতের পেঁপে বীজ থেকে উৎপন্ন দেড় হাজার চারা। সঠিক পরিচর্যায় প্রায় সাড়ে ৫ মাসে ফল এসেছে সেগুলোতে। আর কয়েকদিন পরে হার্ভেস্টিং করা হবে। যদিও এখনেই প্রায় প্রতিদিন পাইকাররা আসছেন পেঁপে কিনতে।
মাইমুন জানান, পেঁপে চাষে অনেকটা পরিশ্রম কম কিন্তু সঠিক পরিচর্যা আবশ্যক। সঠিক নিয়ম মেনে যখন যা প্রয়োজন আমরা তাই করেছি। গাছপ্রতি ৪০-৪৫ কেজি পেঁপে হার্ভেস্টিং সম্ভব। এর প্রতিমণ বাজারমূল্য ১২-১৩ শত টাকা।
তিনি আশা করছেন সেক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ ৩ লাখ টাকা বাদে তার আয় হবে প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকা। অথচ প্রথমে তার বাবা পেঁপে চাষে তেমন আগ্রহ দেখাননি। ধান চাষের বাইরে দিতে চাননি জমি। তার জোড়াজুড়িতে পেঁপে চাষে জমি দিয়ে এখন তিনিও ফলন ভালো দেখে আনন্দিত।
উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষ এ এলাকায় এটিই প্রথম। আমরা নিয়মিত খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করছি এ থেকে উদ্ধুদ্ধ হয়ে আরও অনেকেই পেঁপে চাষ করবেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।