দিনাজপুর প্রতিনিধি : দীর্ঘদিন প্রচন্ড গরম ও তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টিতে অস্বস্তিতে পড়েছে দিনাজপুর শহরবাসী। এদিকে দিনাজপুরের নদ নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।
আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘন্টার বৃষ্টিপাতে দিনাজপুর শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পুরাতন বাহাদুর বাজার, ঘাসি পাড়া, রামনগর, রাজবাটি, স্টেশন রোড থেকে লিলির মোড়সহ একাধিক ভঙ্গুর রাস্তা ভেঙে পড়া ও গর্ত হয়ে যাওয়া রাস্তা ও ড্রেন পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং প্রচন্ড কাদা মাটির কারণে এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়ে।
পুরাতন বাহাদুর বাজারের স্থায়ী বাসিন্দা ও সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র আলতাব হোসেন বলেন, প্রচন্ড গরম ও তাপদাহে মানুষ অস্থির হয়েছিল। দীর্ঘদিন পর বৃষ্টিতে মানুষ শান্তি ও স্বস্তির আশা করেছিল কিন্তু সেই আশা গুড়ে বালিতে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার কারণে এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল জানান, এ মাস থেকে ভেঙে যাওয়া ও খন্ড খন্ড গর্তে নিম্নজ্জিত পুরাতন বাহাদুর বাজার, ঘাসিপাড়া রোড, রামনগর ও রাজবাটি সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার সংস্কার ও নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্তব্যরত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরমধ্যে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৬ কিলোমিটার ও আদ্রতা ৯৬শতাংশ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সহকারী প্রকৌশলী নয়ন জানান, বৃষ্টিপাতের কারণে ইছামতি, পূর্ণভবা ও আত্রাই নদীর পানি গত রোববারের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিপদসীমা নিচে রয়েছে। নদীর পানি ৫৩ সে.মি. বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদসীমা ৪৩ দশমিক ৭০ হলো বর্তমানে ৪৪ দশমিক ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।