চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জে সেমালী খাতুন ওরফে কান্দুনী (৪৫) নামে এক নারীকে একাধিকবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে বিচ্ছিন্ন করে হত্যা ও হত্যার পর মরদেহ গুমের অভিযোগে দন্ডবিধি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত একটি মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, সেই সাথে দন্ডিত দু’জনকে ১ লাখ টাকা করে অর্থদন্ড ও একজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

আজ বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) নরেশ চন্দ্র সরকার আসামিদের উপস্থিতিতে আদেশ প্রদান করেন। দন্ডিতরা হলো- চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার বালুটুঙ্গী গ্রামের মৃত গামজাদের ছেলে জাক্কার (৪৬), একই গ্রামের মৃত মিয়ারুদ্দীনের ছেলে মুনসুর আলী (৪৮) ও মুশরীভুজা গ্রামের আব্দুল কারীমের ছেলে মফিদুল ইসলাম ওরফে সাহিরুল (৪০)।

এদের মধ্যে জাক্কার ও মফিদুলকে এক লাখ টাকা এবং  মুনসুরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন ট্রাইবুনাল। নিহত সেমালী ভোলাহাটের ঘাইবাড়ী গ্রামের এন্তাজ আলীর মেয়ে। মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায় এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (স্পেশাল পিপি) এনামুল হক বলেন, ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট সকালে ভোলাহাটের দলদলি ইউনিয়নের রাঙ্গামাইটা বিলে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন তালাকপ্রাপ্তা সেমালী।

পরদিন ১৮ আগস্ট সকালে ওই বিলের ধানক্ষেতের ভেতর একটি আমগাছের নিচে তার মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার হয়। মাথা পাওয়া যায় বেশ কয়েক গজ দূরে। এ ঘটনায় ওইদিন তার মেয়ে ভোলাহাট থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও ভোলাহাট থানার তৎকালীন পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তদন্তে প্রাপ্ত ওই তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১৩ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল ওই ৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. তসিকুল ইসলাম, আব্দুল বারী প্রমুখ।