দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের হঠাৎ করে অন্ধ হয়ে যাওয়া হতদরিদ্র পরিবারের গৃহবধূ কৃষ্ণা রানী (৪১) আবারও দুচোখে পৃথিবী দেখতে চায়। এ ব্যাপারে সে সমাজের সহৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন।
উপজেলার গোবিন্দপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের আনন্দ কুমার শীলের স্ত্রী কৃষ্ণা রানী। পেশায় নাপিত স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে সুখেই চলছিল তার সংসার। হঠাৎ করেই তার দ’চোখে নেমে এসেছে অন্ধত্ব। গৃহবধূ চোখের আলো হারিয়ে এখন দূর্বিসহ জীবন যাপন শুরু করছেন।
কৃষ্ণা রানীর স্বামী আনন্দ কুমার শীল জানান, ২০১৮ সালে একরাতে কৃষ্ণা রানীর হঠাৎ প্রচন্ড মাথা ব্যাথ্যা ও খিচুনী শুরু হলে ভর্তি করেন জেলা সদরের একটি হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওষুধের পার্র্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চোখ দ্রুত ফুলে যেতে থাকে। মাত্র ৬ দিনের মাথায় বাম চোখ হয়ে যায় পুরোপুরি অন্ধ। এর কিছুদিন পর ডান চোখেও দেখা দেয় উপসর্গ।
৪ বছর ধরে বগুড়া ও ঢাকায় চোখের চিকিৎসা করেও কোন লাভ হয়নি বরং ডান চোখেও দেখা বন্ধ হয়ে যায়। ডাক্তাররা শেষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও অর্থাভাবে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় দানশীল ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তায় বহু কষ্টে ভারতে গিয়ে বাম চোখের অপারেশন করেন। চোখের আলোও ফিরে আসে। ওই চোখ দিয়ে দেখতেও শুরু করেন।
ডাক্তারা পরামর্শ দিয়েছেন দ্বিতীয় চোখটিও অপারেশন না করলে ওই চোখের প্রভাবে ভালো চোখটি আবারও অন্ধ হয়ে যেতে পারে। অপারেশন করতে অর্থের প্রয়োজন। তাদের বাড়ির ৪ শতক জায়গা ছাড়া কোন সম্পতি নেই।
গৃহবধূ কৃষ্ণা রানী জানান, দানশীল ও স্বহৃদয়বান ব্যক্তির সহায়তায় তিনি আবারও দুচোখে পৃথিবীর আলো দেখতে চান। বর্তমানে তার বড় ছেলে অপূর্ব কুমার শীল বগুড়া শাহ্ সুলতান কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। দ্বিতীয় ছেলে আপন কুমার শীল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। তাদের মানুষ করতে চান তিনি। এ জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।