স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ কেটে পালানো মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত ৪ আসামিকে দুই দিনের পুলিশ রিমান্ড শেষে শনিবার আদালতে হাজির করা হবে। এর আগে গত বুধবার বগুড়া সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুমিন হাসান রিমান্ডের আবেদন শুনানি শেষে আসামিদের ২ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ সুজন মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার ওই চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হবে। রিমান্ডে ওই আসামিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে এখনই তা বলা যাবে না।
মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত ওই ৪ আসামিরা হলো- কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গার মৃত আজিজুল হকের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু ওরফে মঞ্জু (৬০), নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার ফজুরকান্দি গ্রামের মৃত ইসরাফিল খাঁর ছেলে মো. আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১), বগুড়ার কাহালু উপজেলার উলট্র পুর্বপাড়ার মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (৩৪) এবং বগুড়া সদর উপজেলার কুটুরবাড়ী পশ্চিমপাড়ার মৃত ইসরাইল শেখ ওরফে চাঁন মিয়ার ছেলে মো. ফরিদ শেখ (৩০)।
এদের মধ্যে আসামি জাকারিয়া কাহালু পৌর সভার মেয়র আব্দুল মান্নান ওরফে ভাটা মান্নানের ছেলে জাকারিয়া। উক্ত জাকারিয়া কাহালু উপজেলার নারহট্ট ইউনিয়নের রোস্তমচাপড় গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে নাইমুর ওরফে নাইমকে মুক্তিপণের দাবিতে হত্যা করে ইটভাটার আগুনে পুড়িয়ে ফেলা মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত ওই ৪ আসামিকে বগুড়া জেলা কারাগারের জাফলং সেলের ২ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়। গত ২৬ জুন রাত ১ টা হতে ৩ টার মধ্যে যে কোন সময় আসামিরা সেলের ছাদ কেটে বিছানার চাদর দিয়ে রশি বানিয়ে বগুড়া জেলা করাগারের প্রাচীর টপকিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে ওইদিন রাত ৪ টার দিকে আসামিদেরকে করতোয়া নদীর পাড় ঘেঁষা চাষিবাজার এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ তাদেরকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।