নগদ ও বিকাশে প্রতারণা চক্রের ফাঁদ
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : নগদ ও বিকাশ একাউন্টে জমা হওয়া প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য ভাতার টাকা গ্রাহকদের অজান্তে মোবাইল ফোন থেকে একটি প্রতারক চক্র তুলে নিয়ে সর্বস্বান্ত করছে। ফলে টাকা হারিয়ে সরকারি ভাতাভোগীরা দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিয়েও কোন ফল না পেয়ে চোখের জলে বুক ভাসাচ্ছেন। তারা এই প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন।
জানা যায়, সরকার প্রদত্ত সারাদেশে প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও গর্ভকালীন ভাতাসহ অন্যান্য ভাতাদি প্রদান করা হয়ে থাকে। আগে এসব ভাতাভোগীদের ভাতার টাকা স্থানীয় ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করা হতো। এতে ওই ভাতাভোগীদের ব্যাংক সমুহে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে টাকা উত্তোলন করতে হতো।
ফলে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের সীমাহিন দুর্ভোগে পড়তে হতো। সরকার এসব দুর্ভোগ লাঘবের কথা চিন্তা করে ভাতাভোগিদের নিজনিজ মোবাইল ফোনে বিকাশ ও নগদ এক্যাউন্ট খুলে প্রদত্ত সেই নম্বরে ভাতার টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করেন। এতে ভাতাভোগিরা খুশি হন। কিন্ত সম্প্রতি ওইসব বিকাশ ও নগদ এ্যাকাউন্টের বেশ কিছু গ্রাহকের পিন নম্বর চলে যায় প্রতারক চক্রের হাতে।
ভাতার টাকা মোবাইল নম্বরে পৌঁছার সাথে সাথে ভাতাভোগীর অজান্তে প্রতারক চক্রটি গোপন পিন নম্বর ব্যবহার করে তাদের সর্বস্ব টাকা তুলে নেয়। পরে ওইসব ভাতাভোগিরা বিকাশ ও নগদ এজেন্টের নিকট টাকা তুলতে এসে দেখেন তাদের এ্যাকাউন্টে কোন টাকা নেই। এ ঘটনায় দরিদ্র ভাতাভোগীরা চোখের জল ফেলে বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কোন কুলকিনারা পাচ্ছে না।
আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউপির ধনতলা গ্রামের প্রতিবন্ধী আমজাদ হোসেন, রবিউল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন ও আরফিনা বেগম জানতে পারেন, গত জুন মাসে অনুরুপ প্রতারক চক্রটি তাদের নগদ এ্যাকাউন্টের টাকা তুলে নিয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আরও বেশ কিছু ব্যক্তির ভাতার টাকা একই কায়দায় চক্রটি তুলে নেয়।
ধনতলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্দা তাহের উদ্দিন ও ভাতাভোগী ফরহাদ হোসেন জানান, তিনি ভাতার টাকা না পাওয়া ওইসব ব্যক্তিদের নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কোন সুরাহা করতে পারেননি। তারা উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।