ভিডিও

রথযাত্রায় পুড়ে মারা গেল জলি সাহা, এতিম হলো দুই সন্তান

প্রকাশিত: জুলাই ০৮, ২০২৪, ১০:৪৫ রাত
আপডেট: জুলাই ০৮, ২০২৪, ১০:৪৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সাহাদত জামান, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : স্বামী মারা যাওয়ার পর এবার পুড়ে মারা গেল জলি সাহাও। বগুড়ায় রথযাত্রার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে পুরো দেহটাই পুরে যায় জলির। আজ সোমবার (৮ জুলাই) তাকে দাহ করা হয়েছে। এ দিকে, বাবা মাকে হারিয়ে একেবারেই এতিম হলো তার দুই সন্তানও।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার গান্দাইল এলাকায় জলির জন্ম। জলির প্রথম স্বামী  ক্যান্সারজনিত কারণে মারা গেছেন। সেই পক্ষের ১ ছেলে এবং ১ মেয়েকে নিয়ে বগুড়া সারিয়াকান্দিতে দ্বিতীয় বিয়ে হয় জলির। জলির দ্বিতীয় স্বামী সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার  সাহাপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী বাসুদেব সাহা। বাসুদেব সাহারও আগের স্ত্রী ব্লাড ক্যান্সারে মারা গেছেন।

তার সেই পক্ষের এক মেয়ে আছে। সে এখন এইচএস সি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। নিহত জলির আগের পক্ষের মেয়ে মেঘ সাহা কাজিপুর গান্দাইল কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী। সেই সুবাদে মেঘ সাহা কাজিপুরেই থাকেন। ছেলে রং সাহা সারিয়াকান্দি অনুশীলন প্রি ক্যাডেট স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্র। গতকাল রোববার বিকাল ৩ টার দিকে জলি তার ভাসুর রামানন্দ সাহার সাথে বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী পালপাড়ায় গিয়েছিলেন রথ যাত্রায় অংশ নিতে। তার সাথে তার জা রত্না সাহাও ছিলেন।

তার জা রত্না সাহাও আহত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এখন সাময়িক সুস্থ হয়ে বাসায় চলে এসেছেন। অধিক পূন্যের আশায় জলি সাহা রথের পিতলের অংশ ছুঁয়ে দেখতে গিয়ে এ দুর্ঘটনায় পতিত হন। রশি টানার একসময় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে একেবারেই তার গায়ের উপরে পরে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই তার নির্মম মৃত্যু হয়। সরেজমিন তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আজ সোমবার (৮ জুলাই) সকালেই সৎকারের জন্য যমুনা নদীর শশ্মান ঘাটে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বাড়িতে বসে বিলাপ করছে মেয়ে মেঘ সাহা। সারারাত কান্না করার পর তার গলা ভেঙে গেছে। ঠিকমতো সে কথা বলতে পারছে না। ইশারায় যা বলছে তাতে বোঝা যাচ্ছে, দুনিয়াতে তার মা বাবা কেউই আর বেঁচে থাকলো না। বিধাতা তাকে একেবারেই এতিম করে দিলেন।

জলির ভাসুর রামানন্দ সাহা বলেন, যেহেতু অনেক লোকজনের ভিড়, তাই আমি ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে ছিলাম। দুর্ঘটনা ঘটার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আমার স্ত্রী এবং ছোট ভাইয়ের বৌ জলিকে খুঁজে পাইনি। পরে আমার স্ত্রীর মোবাইল থেকে একটি ফোনকলের মাধ্যমে জানতে পারি তারা বগুড়া শজিমেকে ভর্তি আছে।

এর আগে আমরা তাদের বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালেও খোঁজ নিয়েছি। পরে শজিমেকে জলির মরদেহ পাই এবং আমার স্ত্রীকে আহত অবস্থায় পাই। জলির স্বামী বাসুদেব সাহা বলেন, আমার আগের বউটা ব্লাড ক্যান্সারে মারা গেছে। এ বউটা দুর্ঘটনায় মারা গেলো। আমি এখন নি:স্ব।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS