ভিডিও

লাইফ সাপোর্টে চন্দন দেব, হাসপাতালের বেডে নির্বাক মণিকা

প্রকাশিত: জুলাই ০৮, ২০২৪, ১১:০২ রাত
আপডেট: জুলাই ০৮, ২০২৪, ১১:০২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা উৎসবে রথে বিদ্যুতায়িত হয়ে আহত অবস্থায় ৩৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হলেও আজ সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত ২৮ জন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গুরুতর আহত রঞ্জন পাল (৫০) ও চন্দন দেব (৬৮) নামের দুই ব্যক্তির অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল রোববার রাতেই ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে চন্দন দেবের অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে আজ সোমবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন, বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার হারুন বাঁশফোর’র স্ত্রী সীমা রাণী বাঁশফোর (৩৫), একই এলাকার মানিক রবিদাসের স্ত্রী সুচিত্রা দাস (৪৫), মমদ’র স্ত্রী শান্তি (৪০), রিপা রাণী পাল (৬৫), গীতা রাণী (৪২), সুস্মিতা (১২), ঠনঠনিয়া সুইপার কোয়ার্টারের দিলীপের স্ত্রী চুমকী (৪৫) তার দুই মেয়ে পুজা (২৮) ও চাঁদনী (২৫), কাহালুর রঘুনাথপুরের শিপন চন্দ্র সরকারের স্ত্রী নিপা রাণী সরকার (৩৫), একই উপজেলার গিরাইল গ্রামের বেণু চন্দ্র সরকারের স্ত্রী কৃষ্ণা রাণী সরকার (৪০), গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বানীহালী গ্রামের অজিত পালের স্ত্রী জোস্না রাণী (৪০), একই এলাকার সুশীল চন্দ্র পালের স্ত্রী জোস্না রাণী পাল, বগুড়া সদরের মুগলিশপুর এলাকার বাবু চন্দ্র মোহন্ত’র স্ত্রী আলো রাণী মোহন্ত (৪০), গাজী পালশা এলাকার ফনীন্দ্র নাথের ছেলে শিবু পাল(৫০), রতন রায়ের ছেলে শুভাষ রায় (৪০), বিমল চন্দ্র সরকারের স্ত্রী শোভা রাণী (৫০),  সেউজগাড়ি এলাকার দেবেন্দ্র নাথের ছেলে সুশান্ত (৪৫), নন্দীগ্রাম উপজেলার কলেজপাড়ার ইন্দ্রজিদ কুমারের স্ত্রী শীলা সরকার (৪৫), সোনাতলা উপজেলা সদরের সুনীল সাহার স্ত্রী শিবানী সাহা (৫০), তার মেয়ে সুমি সাহা (৩০), একই উপজেলার বিপুল চদ্র’র ছেলে রুমন (৩৫),শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রামের অমূল্য চন্দ্র সরকারের ছেলে স্বপর সরকার (৪০), এবং বগুড়া শহরের পুরান বগুড়া এলাকার লঙ্কেশ্বরের শিশু কণ্য মনিকা (৯)।

তবে এই শিশুটির মা আতশী রাণী ওই দুর্ঘটনায় মারা যান। মা’কে হারিয়ে হাসপাতালের বেডে শিশুটি নির্বাক হয়ে রয়েছে। কারো সাথে তেমন কথা-বার্তা বলছেনা। এদিকে আজ সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় আহত বেশিরভাগ রোগিই বিছানায় ছটফট করছে।

এদিকে ঐদিন রাতে বগুড়া শহরের সেউজগাড়ি পালপাড়া এলাকার পাঁচকড়ি পালের ছেলে রঞ্জন পালের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শজিমেক’র চিকিৎসকরা ঢাকায় স্থানান্তরের উপদেশ প্রদান করলে তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইন্সস্টিটিউশনে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থান রত আহত রঞ্জন পালের স্ত্রী জানান, তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

অপর দিকে শহরের দত্তবাড়ি এলাকার খিরদ চন্দ্র দেব এর ছেলে চন্দন দেবকেও ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সস্টিটিউশনে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থানরত তার ছেলে পরাগ দেব জানান, তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতারের উপ পরিচালক ডা, আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত ৩৮ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও গতকাল বিকেল পর্যন্ত ২৭ জন ভর্তি ছিলেন। এরমধ্যে দু’জনকে ঢাকায় এবং বাঁকিরা কিছুটা সুস্থ হওয়ায় তারা অন্যত্র চলে গেছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS