রংপুর প্রতিনিধি : সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি বলেছেন, সরকারের ওপর আস্থাহীনতার কারণে দেশে কোটা ও পেনশন নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। এ আন্দোলন যৌক্তিক ও সমর্থনযোগ্য। সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা পাচ্ছে না।
মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে ব্যবহার করে সরকার তাদের অনুগতদের চাকুরিতে নিয়ে আসছে। আর এ জন্য ছাত্ররা আন্দোলন করছে সরকার যেন চাপের মুখে সেটি তুলে নেয়। আজ সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে দুদিনের সফরে রংপুরে এসে স্থানীয় সার্কিট হাউসে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারের ঘনিষ্ঠজন। সরকারের সাথে তারা সব সময় থাকেন এবং সরকারের কর্মকান্ডকে সমর্থন করেন। সরকার বলছে নতুন পেনশন স্কিমে আরও বেশি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। এরপরও শিক্ষকরা আস্থাহীনতার জায়গা থেকে আন্দোলন করছেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, তিস্তা প্রকল্প বিষয়টি সরকার জটিল করে তুলেছে। আমরা বিভিন্নভাবে বাইরের শক্তির কাছে পরনির্ভর হয়েছি। সরকার জনগণের স্বার্থ চিন্তা না করে নিজেদের ক্ষমতায় থাকার চিন্তা করছে। যদি পদ্মাসেতু ঋণ নিয়ে তৈরি করা হয়, তবে কেন তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঋণ নিয়ে করা হবে না। এটি হলে গোটা দেশের মানুষ উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, আমরা বলতে পারি ঋণ নিয়ে ঘি খাওয়ার মত অবস্থা দেশে বিরাজ করছে। ফলে ঋণের বোঝা জনগণের ওপর পড়বে। ইতোমধ্যেই আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সরকার করোনা, ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাত দেখাচ্ছে। অথচ ভারতের মুদ্রাস্ফিতি অর্ধেকে নেমেছে, নেপালে মুদ্রাস্ফিতি কমেছে।
দেউলিয়া দেশ শ্রীলংঙ্কা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
সব দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আর আমরা পিছিয়ে পড়ছি। সরকার দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, জেলা যুব সংহতির সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিমসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।